এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন স্টার জলসার সেই ঝিলিক ও বাহা

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আসছে চমক। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দেয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন ব্যাপক তোলপাড় হয়। কিন্তু তরুণদের আইডল হিসেবে পরিচিত অভিনয় শিল্পীদের অনেকেই যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল।

এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় স্টার জলসার আলোচিত ‘মা’ সিরিজে অভিনয় করা ঝিলিক চরিত্রে অভিনয় করা শ্রীতমা ভট্টাচার্য। ‘ইষ্টিকুটুম’ সিরিয়ালের বাহা চরিত্রে অভিনয় করা রনিতা দাস। এছাড়া লোকনাথ বাবা চরিত্রে অভিনয়কারী সৌপ্তিক চক্রবর্তীও রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়াদের দলে। তালিকায় আরও যুক্ত হলেন অভিনেত্রী দিশা রায় চৌধুরী।

ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং যুব তৃণমূলের নেতা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। সৌপ্তিক অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সমর্থক। এবার মানুষের পাশে থাকবেন বলেই সরাসরি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আধ্যাত্মিক গুরু লোকনাথ ব্রহ্মচারীর চেহারা মনে করতে চাইলেই এখন ছোটপর্দার বহু দর্শকের মাথায় আসে সৌপ্তিকের চেহারাই। সে অর্থে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি। সেই জনপ্রিয়তা কি রাজনীতির ময়দানে তাঁকে সাহায্য করবে? লোকনাথ সৌপ্তিক ব্রহ্মচারীর জবাব, ‘লোকনাথ বাবার যেমন ঐশ্বরিক ক্ষমতা ছিল, তা তো আর আমাদের নেই। তবে মানুষের কাজ করার জন্য রাজনীতিই একমাত্র রাস্তা।’

এনআরসি সমর্থনকারীদের বিরোধিতা করবেন বলেই সক্রিয়ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী বাহা।

অভিনেত্রী বাহা ওরফে রণিতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট কাছের এবং ঘনিষ্ঠ। পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী ‘বাহা’ চরিত্রে মুগ্ধ। পাশাপাশিই তিনি গুণগ্রাহী ওই চরিত্রের অভিনেত্রী রণিতারও।

মা ধারাবাহিকের ‘ঝিলিক’ (শ্রীতমা) অবশ্য তৃণমূলের বৃত্তে পরিচিত মুখ। বহু সময়েই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাশে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সর্বদা বিবিধ কারণে আলোচনায়-থাকা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকে জানেন। তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে ঝিলিক বা শ্রীতমা বলছেন, ‘অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। নানা কাজও করেছি। আনুষ্ঠানিকতাটুকু ছিল না। সেটাই এখন হল।’

তিনি বলেন, একজন শিল্পীর অনেক বেশি নিরাপত্তা দরকার। সেটা এই দল থেকেই পেয়েছি। তাই অন্য কোনও দলের কথা ভাবতেই পারতাম না।

সৌপ্তিকও বলছেন, ‘‘বাংলায় মহিলাদের অনেক বেশি সম্মান করা হয়। বিজেপি-র সংস্কৃতি তার পরিপন্থী। ফলে রাজনৈতিকভাবে এই দলের বিরোধিতাই করব।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *