সু চির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকার বিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে। এবার তার বিরুদ্ধে জাতীয় দুর্যোগ আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে সেনা সরকার। তবে এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস আবারও সু চির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে সু চির বিরুদ্ধে আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে জান্তা সরকার। অন্য আরেকটি মামলায় রিমান্ডে রয়েছে সু চি।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন দাবি মঙ্গলবার বলেন, ‘ভোট জালিয়াতির কারণে ক্ষমতা হাতে নিয়েছে সামরিক বাহিনী।’ তবে ভোটে জালিয়াতির কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

এদিকে মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সামরিক বাহিনীর পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছে, দেশটিতে নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তবে কবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করা হয়নি।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাতিসংঘ বলেছে, সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে দমন অভিযান চালানো হলে ‘চড়া মূল্য’ গুনতে হতে পারে মিয়ানমারকে। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।’

এদিকে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াংগুনের রাস্তায় রাস্তায় সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। ফলে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

অং সান সুচিসহ দেশটির এনএলডি পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আটকের দু’সপ্তাহ পরও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শহরের উত্তরাঞ্চলে প্রকৌশল ও কারিগরীর শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরো কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে।

গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। যদিও তারা তার প্রমাণ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি।

ওই দিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এবং বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *