সিনেটে ধরাশায়ী ইমরান খান, মরিয়ম-বিলাওয়ালদের উচ্ছ্বাস

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।  সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।  বহু চেষ্টায় ইমরান খানকে বেকায়দায় ফেলতে পেরে বিরোধী শিবিরে উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে।
সিনেট নির্বাচনে ইসলামাবাদে হেরে গেছেন পিটিআইয়ের প্রার্থী।  রাজধানীতে জয় পেয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
গিলানিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ইমরানের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী জোটের নেতারা।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যদি ইমরান খানের কোনো সম্মান থাকে, তবে তার নিজেরই উচিত পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। ইমরান খানের আজই পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, তার পদত্যাগের দাবি কেবল বিরোধী দলগুলোরই নয়, সরকারি দলের নেতৃত্বও তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বেনজির ভুট্টোর ছেলে টুইটে আরও লেখেন— ‘গণতন্ত্রই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।  ভুট্টোর জয় হোক।’
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এক টুইটে লিখেছেন—সিনেটে গৌরবোজ্জ্বল জয় পাওয়ার জন্য গিলানিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আর দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নওয়াজকন্যা মরিয়ম টুইট করে গিলানিকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে বিরোধী জোট পিডিএমের সব নেতাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান।  তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।  মরিয়ম লেখেন—‘মুসলিম লীগ নেতাকর্মীদের অভিনন্দন। ভবিষ্যৎ তোমাদের।’
৯৬ সদস্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৪৮ আসনে বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী ভোটে প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের আইনপ্রণেতারা ভোট দেন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিটিআই ১৮টি নতুন আসন, পিপিপি চারটি, পিএমএল-এন পাঁচটি নতুন আসন পেয়েছে। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের পিটিআই।  সিনেটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান দুটো পদই হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন ইমরান খান।
ইসলামাবাদে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ডা. আবদুল হাফিজ শেখ পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। আর ইউসুফ রাজা গিলানি পেয়েছেন ১৬৯ ভোট। এই নির্বাচনে ইমরান খানের দলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছে বিরোধী দলগুলো। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন (পিডিএম) নামে একটি মোর্চা করে ভোট করে বিরোধী দলগুলো। গিলানি এই জোটের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন।
সিনেট নির্বাচনে ইসলামাবাদে ধরাশায়ী হওয়ার পর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *