মিয়ানমারে গুলিতে ঝরল আরও ৯ প্রাণ

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের ওপর সামরিক জান্তার দমন-নিপীড়ন চলছেই। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯ জন। এরমধ্যে শুক্রবার রাতে ২ জন ও আজ শনিবার ৭ জন নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জনের বেশি নাগরিক। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে এ পর্যন্ত দু হাজারেরও অধিককে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকদের কাজের সুবিধাসহ ত্রাণসহায়তা প্রদান করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে স্বামীকে হারিয়ে এখন দিশেহারা দু’মাসের গর্ভবতী এক নারী। দুই বছর বয়সী আরও একটি শিশু রয়েছে তার। সর্বশেষ নিজের ভাইকে হারিয়ে তাঁর লাশের দিকে তাকিয়ে নির্বাক ছোট বোন (ছবিতে)। দেশটিতে প্রিয়জন হারানোর এমন শোক বেড়েই চলেছে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

আন্তর্জাতিক সব আহ্বান উপেক্ষা করে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে সেনাশাসকরা। যার ধারাবাহিকতায় নতুন করে প্রাণ হারালও আরও ৯ জন।

১৯৮৮ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নিহত শিক্ষার্থী ফোন মাও’র মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে শনিবার আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভ শুরু করে গণতন্ত্রপন্থিরা। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর পর পরই তাদের হটাতে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। নিহত হয় ২ জন। এছাড়া পায়ায় শহরে নিহত হয় আরও ২ বিক্ষোভকারী।

এর আগে শুক্রবার রাতভর বিক্ষোভ চলে রাজধানী ইয়াংগুনে। এসময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় ৫ জন।

এদিকে পুলিশের গুলিতে নিহত মে কেয়াল নামের ১৯ বছর বয়সী তরুণীর মরদেহ কবর থেকে সরিয়ে ফেলা ও কবরটি সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে সমালোচনার মুখে পড়েছে সেনা শাসকরা। মানবাধিকার সংস্থা বলছে, চূড়ান্ত বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ।

চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মিয়ানমারে থাকা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। এরইমধ্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের দ্রুত দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ১৬শ’র বেশি মিয়ানমারের নাগরিককে ত্রাণসুবিধার পাশাপাশি কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউজ জানায়, সেনা অভ্যুত্থানের কারণে সাময়িকভাবে এ সুবিধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র- ভয়েজ অব আমেরিকা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *