মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ৬শ ছাড়াল

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: মিয়ানমারের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শহরাঞ্চল থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীও বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক গুলি ছুড়েও মানুষকে দমাতে পারছে না সেনাশাসকরা। গত দুই দিনে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ২৩ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর মোট ৬১৪ জন প্রাণ হারালেন। দেশটির প্রতিষ্ঠিত সংগঠন এএপিপি’র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। তবে কোন কোন সংবাদ মাধ্যম বলছে এদিনের নিহতের সংখ্যা ২০ এর অধিক।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কাছের শহর বাগোতে শুক্রবার নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের দিকে রাইফেল গ্রেনেড ছুড়েছে। সেখানে অন্তত ১০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন এবং তাদের মৃতদেহ একটি প্যাগোডার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

অবশ্য অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন মাওকুন অবশ্য ২০ জন নিহত হওয়ার কথা বলেছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাদের খবরে বলা হয়, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, নিরাপত্তাবাহিনী প্যাগোডাটি ঘিরে রেখেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর এখন পর্যন্ত সেখানে ৬১৪ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজোনার্স (এএপিপি)। নিহতদের মধ্যে ৪৫টি শিশুও রয়েছে। তবে সেনাবাহিনী বলছে, তাদের কাছে ২৪৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড আছে। তাদের তথ্যানুযায়ী, বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে ১৬ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

দেশটিতে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন প্রায় তিন হাজার প্রতিবাদী। সেনাবিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন জানানোয় গোটা দেশে একশোরও বেশি শিল্পীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এদিকে পাইং তাকোন নামে বছর চব্বিশের এক অভিনেতাকে তার ইয়াঙ্গুনের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে সেনারা।

তার বোন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিনেতা কয়েক দিন ইয়াঙ্গুনে বাবা-মায়ের বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ সেনার ৮টি গাড়ি ও ৫০ জন সেনা তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাকে কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে, তা তার পরিবার জানে না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *