গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় ৯ শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত এক শিশুর বয়স ১০ বছরের কম বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিবৃতিতে বিমান হামলার কথা স্বীকার করলেও দাবি করেছে, তারা হামাসের দুটি রকেট নিক্ষেপ কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইযাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আল-আকসা মসজিদ এবং পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবির থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি আটককৃতদের মুক্তি না দিলে এর জবাব দেয়া হবে। ডেডলাইন শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পর সোমবার সন্ধ্যায় আল কাসসাম ব্রিগেড পূর্ব জেরুজালেমে শতাধিক রকেট হামলা চালায়। এই রকেট হামলার পর ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকার বেসামরিক এলাকায় বর্বরোচিত কায়দায় বিমান হামলা করে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরাইলি আগ্ৰাসনের সমালোচনা না করে উল্টো ‘হামাসের রকেট টহামলা বন্ধ করা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

অপরদিকে, সোমবার ভোরে আবারও ইসরাইলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছুড়েছে। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়।

ইসরাইলি আদালতের সহযোগিতা নিয়ে দখলদার ইসরাইল সরকার শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উচ্ছেদ এবং তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করছে। সেখানে নতুন একটি ইহুদি বসতি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়ে এই কাজ করছে তেল আবিব। গত কয়েকদিনে ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে জোর করে বের কের দেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জড়ো হলে তাদের ওপর অভিযান চালায় ইসরাইলি পুলিশ। পরদিন পবিত্র শবে কদরের রাতেও তাদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়। এতে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *