গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহত বেড়ে ২৫০

আন্তর্জাতিক লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আজ মঙ্গলবারও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের অপর অব্যাহতভাবে বর্বর বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলি শহরগুলো লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ দলগুলো।

যাতে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা এই পাশবিক হামলায় অন্তত ২৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর নিক্ষিপ্ত রকেটের আঘাতে অন্তত ১০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।

এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও তীব্রতর হচ্ছে। তবে চলমান সংঘাত বন্ধের জন্য যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক উদ্যোগ এখন পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি।

আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবাননেও গোলা নিক্ষেপ করেছে। জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। যদিও তা ব্যর্থ করে দিয়েছে বলেই দাবি ইসরায়েলের।

এদিকে সোমবার (১৭ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে তৃতীয়বার ফোনে কথা বলেন এবং যুদ্ধবিরতির পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন। তবে আড়াই শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটানো সহিংসতা বন্ধের বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ থাকেন।

যদিও হোয়াইট হাউস বলেছে যে, বাইডেন “নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে উৎসাহিত করেছেন” এবং এই দুই নেতা “গাজায় হামাস এবং অপর সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন”।

সম্প্রতি পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এবং পার্শ্ববর্তী শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রেক্ষিতেই পূর্ব জেরুসালেমে যে উত্তেজনা শুরু হয়, তা গোটা গাজায় ছড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ তা ইসরায়েল ও হামাসের পাল্টা হামলার মধ্যে গড়িয়েছে এবং যা এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌঁছেছে এবং থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গাজায় গত ১০ মে শুরু হওয়ার পর থেকে এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৬১ জন শিশুসহ আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে, হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। যেখানে প্রধান তিন ধর্মের পিঠস্থান আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে অবরুদ্ধ করে নেয়, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনওই স্বীকৃত দেয় নি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *