স্বদেশ বাণী ডেস্ক: তালেবান সমগ্র আফগানিস্তানের দখল নিলেও পাঞ্জশির প্রদেশে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন আহমদ মাসুদ বাহিনী। তার সঙ্গে ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ ও সাবেক প্রতিরক্ষমন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান।
যে কারণে পাঞ্জশিরের দিকেই নজর ছিল গোটা বিশ্বের। সোমবারের আগ পর্যন্ত পাঞ্জশির অজেয় ছিল বলে খবর। ১৯৯০ এর দশকে বিন লাদেন-মোল্লা ওমরের তালেবান আফগানিস্তান দখল করলেও পাঞ্জশির নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। সেবার মাসুদের বাবা শাহ আহমদ মাসুদের চৌকশ বাহিনীর কাছ থেকে পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তালেবান। এবারও হয়ত পারবে না বলেই বলাবলি হচ্ছিল।
কিন্তু সোমবার সকালে তালেবানের মুখপাত্র জাবিনুল্লাহ মুজাহিদ পাঞ্জশির বিজয়ের ঘোষণা দেন। প্রদেশটি দখলের পর তালেবান যোদ্ধারা গভর্নর ভবনের সামনে ছবিও তোলেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যেখানে দেখা গেছে, পাঞ্জশিরের শহরে তালেবানের পতাকা পত পত করে উড়ছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পাঞ্জশিরের যোদ্ধাদের বিপুল অস্ত্রের সংগ্রহ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তালেবান। আরো একটিতে দেখা গেছে, পাঞ্জশিরের যোদ্ধাদের ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তালেবানরা।
পাশাপাশি আরো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণকারী মাসুদ বাহিনীর যোদ্ধাদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে তালেবান।
ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ করে তালেবানপন্থি বখতার নিউজ এজেন্সি নামের একটি টিভি চ্যানেল। যেখানে দেখা গেছে,
আত্মসমর্পণ করা মাসুদ বাহিনীর সদস্যরা লাইন ধরে একে একে এগিয়ে আসছেন। হাত পাতছেন। আর তাদের গুনে গুনে টাকা দিচ্ছেন তালেবানরা। সেই টাকা পকেটে ঢুকিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন এসব যোদ্ধারা।
গত এক সপ্তাহ আগ থেকে রোববার পর্যন্ত যেসব যোদ্ধারা তালেবানবিরোধী স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন তারাই এখন বস্যতা স্বীকার করে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছেন।