ইরান মধ্যপ্রাচ্যের যোদ্ধাদের ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, অভিযোগ ইসরাইলের

আন্তর্জাতিক

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যোদ্ধাদের ইরান ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ দাবি করছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজের দাবি, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদেরকে ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইরান। ইস্পাহান শহরে অবস্থিত একটি বিমানঘাঁটিতে ইরান এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

এর কয়েকদিন আগে ইসরাইলের এই মন্ত্রী বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। অবিলম্বে তেহরানকে থামানো না গেলে মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে।

রোববার তেল আবিবের নিকটবর্তী রেইচম্যান ইউনিভার্সিটিতে এক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ এসব তথ্য বলেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় কিভাবে মনুষ্যবিহীন ড্রোন বানানো যাবে তেহরান সেটা স্থান্তরিত করার চেষ্টা করছে। ইরানের ইস্পাহান শহরের কাসানে ড্রোনের রানওয়ে আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে ইরান কোনো মন্তব্য করেনি। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাবিশ্বের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাতিসংঘের একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, তেহরান গোপনে পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করেছে।

গত ২৯ জুলাই আরব উপসাগরের ওমান উপকূলে ইসরাইলের একটি ব্যবসায়িক জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জন্য ইসরাইল ইরানকে দোষারোপ করে।

এছাড়া একই মাসের শুরুতে (জুলাই) উত্তর ভারত মহাসাগরে ইসরাইলি মালিকানাধীন একটি কার্গো জাহাজে হামলা হয়। ওই হামলায় জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।

এসব হামলার জন্য ইসরাইল ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানকে দায়ী করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের কর্তৃত্ব নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে ছায়াযুদ্ধ লেগেই থাকে।

গত এপ্রিলে ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে একটি রহস্যজনক বিস্ফোরণ ঘটে। একে নাশকতা বলে অভিহিত করে ইরান। এ হামলার জন্য তারা ইসরাইলকে দায়ী করে।

বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অঘোষিত ছায়াযুদ্ধ এখন একটি বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *