৪শ খেলার অনুমোদন দেবে তালেবান

আন্তর্জাতিক

স্বদেশ বাণী ডেস্ক:  আফগানিস্তানে ৪০০ ধরনের খেলাধুলার অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তালেবান-নিযুক্ত আফগানিস্তানের খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক দপ্তরের মহাপরিচালক। তবে নারীদের খেলাধুলার বিষয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। খবর এএফপি ও বিবিসি।

এদিকে বোরকা পরে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়েছেন আফগানিস্তানের জুনিয়র নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। কোচ ও পারিবারসহ ৮১ জনের দলটি উত্তরের তোরখাম সীমান্ত অতিক্রম করে মঙ্গলবার লাহোরে পৌঁছলে ফুলের মালা দিয়ে তাদেরকে স্বাগত এনজিও কর্তারা। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী পাওয়াদ চৌধুরীও তাদেরকে স্বাগত জানান টুইটে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকাকালে খেলাধুলার ব্যাপারে বেশ কট্টর অবস্থান নিয়েছিল তালেবান। সে সময় পুরুষের বিভিন্ন খেলাধুলার ওপর তালেবানের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ছিল। আর নারীদের খেলাধুলা তারা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছিল। সে সময় স্টেডিয়ামগুলো প্রায়ই ‘অপরাধীদের’ সাজা কার্যকরের স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হতো। তবে এবার ক্ষমতায় এসে কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলছে তালেবান।

আফগানিস্তানের খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক দপ্তরের মহাপরিচালক বশির আহমাদ রুস্তমজাই বলেন, শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে না গেলে কোনো খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। শরিয়া আইন মেনে চললে আফগানিস্তানের খেলাধুলায় বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় খুব কমই পরিবর্তন আসবে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ফুটবল খেলোয়াড় বা বক্সারদের হাঁটুর নিচ পর্যন্ত প্যান্ট পরে খেলায় নামতে হবে। ফলে খেলায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না।

খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রুস্তমজাই বলেন, এ বিষয়ে তালেবানের উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন তিনি। যে ৪০০ ধরনের খেলা তালেবান অনুমোদন দেবে বলে বলা হচ্ছে, তার মধ্যে একটিতেও নারীরা অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে অস্বীকৃতি জানান রুস্তমজাই। তিনি বলেন, ‘দয়া করে নারীদের বিষয়ে আমাকে আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।’ তবে রুস্তমজাইয়ের এক উপদেষ্টা বলেছেন, তালেবান নারীদের খেলার সুযোগ দেবে।

কিন্তু পুরুষদের থেকে আলাদাভাবে তাদের খেলায় অংশ নিতে হবে। গত সপ্তাহে তালেবানের সংস্কৃতিবিষয়ক কমিশনের উপপ্রধান আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক বলেছিলেন, নারীদের খেলাধুলার কোনো প্রয়োজন নেই। অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এসবিএসকে আহমাদুল্লাহ বলেন, ক্রিকেটে নারীদের এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে, যা ইসলাম নারীদের অনুমোদন দেয় না।

তালেবান যদি নারীদের ক্রিকেট খেলার অনুমতি না দেয়, তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। কারণ কোনো দেশকে টেস্ট ম্যাচে অংশ নিতে হলে দেশটির পুরুষ দলের পাশাপাশি সক্রিয় নারী দল থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আফগানিস্তানের নারীরা ক্রিকেট খেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আফগান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিজুল্লাহ ফজলি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *