জাহিদ, ওয়াশিংটন ডিসিঃ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরবর্তী আবারও আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় একগুয়েমী দূর করতে আয়োজন করা হয় ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির পরিচালক আবু রুমির উদ্যোগে বৈশাখী মেলার। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাশন ডিস্ট্রিক্ট পার্কে অনুষ্ঠিত মেলায় বাঙালীরা নাচে-গানে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান এলাকাজুড়ে পরিণত হয় যেন ‘এক চিলতি বাংলাদেশ’। দীর্ঘ বিরতির পর দেখা-স্বাক্ষাতে কুশল বিনিময়সহ একে অপরে খোঁশ গল্পে মেতে উঠেন তারা।
ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির (আবু রুমি) আয়োজনে এই প্রথম করোনা মহামরি পরবর্তী ফিরে দেখা বৈশাখ ‘বৈশাখী মেলা ১৪২৯’। মেলায় গান করেন নিউইয়র্ক,ওয়াশিংটন ডিসি সহ বাংলাদেশ হতে আগত শিল্পীরা।
দর্শক মাতানো গান পরিবেশনা করেন, নিউইয়র্ক হতে আগত জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহমুদ,আরজিন কামাল,কালা চাঁদ, ইশরাত চৌধুরী, সামিনা দেওয়ান। বাংলাদেশ হতে আগত মারিয়া মরিও, মেট্রো বাউল শিল্পীরা। তাদের সাথে গানে গানে দর্শকও কণ্ঠ মিলিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
মেলায় শিল্পী রোজারিওর পরিচালনায় নৃত্যে দর্শকের মনে দোলা দেন আলি জাবেদ পালমা। নাচে আরো অংশ নেয় রুপান্তি এবং কাইনাত।
জাকজমকপূর্ণ মেলায় মহসিমা রিমি ও তৌহিদুল ইসলাম এর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ভয়েস অফ আমেরিকার প্রাক্তন সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার।
ফিরে দেখা বৈশাখ অনুষ্ঠান থেকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়, রোকেয়া হায়দার, সিমা খান, তমাল ঠাকুর, মহসিমা রিমি ও তৌহিদুল ইসলামকে।
বিশাল এই অনুষ্ঠান সফল করতে আবু রুমির নেতৃত্বে যারা অগ্রভাগে ছিলেন। তারা হলেন, নুরুল আমিন, করিম সালাউদ্দিন, রোকসানা পারভিন, রবিউল ইসলাম শিশির, সামশুন চৌধুরী।
এছাড়া, নৃত্য পরিবেশনা করেছেন মেহদি জাহান ইশাল, আর্দি বড়–য়া, মাহিব্বা হাসান নিয়েনটি। কোরিওগ্রাফি রোকেয়া হাসি, মারিয়া মরিয়ম, আর্জুন কামাল, শাহ মাহবুব, অনিমা ডি-কস্টা। তবলায় ছিলেন, আশিষ বড়–য়া, নাল-আতিকুর রহমান, অক্টোপ্যাড- কেনি বিশ্বাস, কিবোর্ড-স্যামি, বাশি নাফি ফারহান, গিটার-শুভ হাসান, তুর্গো দাস, ঢোল- শফিক, শব্দ- রবিউল ইসলাম শিশির, স্টল- নুরুল ইসলাম নুরু, গেস্ট ম্যানেজমেন্ট- করিম সালাউদ্দিন।
প্রাবাসী জীবনে বাঙালীর চির চেনা ঐতিহ্যকে উৎসবের আমাজে পেয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায় আগাত দর্শনার্থীরা।
আর সফলভাবে মেলা শেষ হওয়ায় আয়োজক ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির পরিচালক আবু রুমি উপস্থিত সকালকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসাথে আগামী ৯ই অক্টোবর ব্যান্ডস্ ফেস্টিভালের ঘোষণা দেন তিনি।