স্বদেশ বাণী ডেস্ক: সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আইএসপিআর (আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর) থেকে বিফ্রিং দেওয়া হয়েছে। বিগ্রেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনার সঙ্গে কোনও সেনা সদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে শুধু চাকরিচ্যুৎ নয়, তাকে সিভিল জেলেও পাঠানো হবে।’
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তিনি বগুড়া সেনানিবাসে আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের ঘটনাস্থলে শুধু সেনাটহলই ছিল না, অন্যান্য বাহিনীর টহলদলও ছিল। কিন্তু আমরা অভিযোগ আসার সাথে সাথে টহলরত সেনাসদস্যদের ক্লোজড করেছি। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত আদালতও গঠন করা হয়েছে। যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ ঠেকাতে এবং ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জানান, শিগগিরই সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাসদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শান্তি চুক্তির আওতায় সেখানে সেনা সদস্য কমিয়ে ও অনেক ইউনিট গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। শান্তি চুক্তিতে শর্ত ছিল শান্তি বাহিনী ও অন্যরা কোনও অস্ত্র রাখবে না। কিন্তু তারা সে শর্ত ভঙ্গ করে যাচ্ছে।
ইউপিডিএফের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারও করা হচ্ছে। চাঁদাবাজিসহ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা শান্তি চুক্তির শর্ত পালন করছে না। তাই আমরা অতীতের চেয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি।’
দেশ এবং দেশের বাইরের যে কোনও হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান।’
এর আগে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও আর্মার্ড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তারা অংশ নেন। সূত্র: পূর্বপশ্চিম।
স্ব.বা/শা