ছাত্রলীগ মানুষের দল নয় পশুর দলে পরিণত হয়েছে : টুকু

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ও নিজের হাগে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানুষের দল নয় পশুর দলে পরিণত হয়েছে। তারা জন্মলগ্ন থেকে খুন, হত্যা, চাঁদাবাজী ও ধর্ষনের রাজত্ব কায়েম করে আসলেও দেশের বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর নিশ্চুপ থেকেছেন।

আজ শনিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অতিতে ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। আজও বলে যাচ্ছেন। যা মুখে বলছেন তা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অন্তরের কথা নয়। মুখে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও অন্তরে তাঁর রক্ষস্খরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, বুয়েটের সব থেকে ভাল ও কঠিন বিষয়ে পড়ালেখা করতেন শহীদ আবরার হোসেন ফাহাদ। সেই মেধাবী শিক্ষার্থীকে মধ্যযুগের কায়দায় অত্যন্ত অমানষিক ভাবে নির্যাতন ও পশুর মত আচরণ করে ছাত্রলীগের গু-ারা হত্যা করেছে। যতই শেখ হাসিনা তাঁর এমপি মন্ত্রীরা আবরার হত্যাকারীদের বিচারের কথা বলুক মানুষ তা আর বিশ্বাস করেনা। পূর্বেও প্রকাশ্যে বিশ্বজিতকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা খুন করলেও খুনিদের তারা মাফ করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে। দেশের কোন মানুষ এই সরকারের নিকট নিরাপদ নয়। প্রতিদিন বিরোধীমতালম্বীদের হত্যা করছে এই সরকার। এই সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী শুধু হত্যা নয়, গুম, ধর্ষন, মিথ্যা মামলা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। সমালোচনা করলে দিনে দুপুরে এবং রাতের অন্ধকারে জনগণকে খুন করে লাশ গুম করে দিচ্ছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাথে একের পর এক দেশ বিরোধী চুক্তি করে বাংলাদেশকে ভারতের একটি প্রদেশে পরিণত করেছে। শুধু তাই নয় যুবলীগের সূর্য্য সন্তানেরা ক্যাসিনোর ব্যবসা করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এর ভাগ আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের অনেক বড় বড় নেতারা ভাগ নিয়েছে। অথচ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোন প্রকার অর্থ আত্মস্বাত না করলেও তাঁকে দেড় বছরে বেশী সময় ধরে অন্ধকার কারাগারে রেখেছে। তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছেনা। বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও আবরার ফাহাদের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। সেইসাথে বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি।

দেশ বিরোধী চুক্তি বাতিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবী এবং বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফহাদ হত্যার প্রতিবাদে মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ে সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডাভোকেট শফিকুল হক মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির যুগ্ম সাধ্রাণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপি’র সদস্য ও তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, নওহাটা পৌর মেয়র শেখ মকবুল হোসেন, সৈয়দ মহসিন, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা ও এ্যাডভোকেট মাইনুল আহসান পান্না।

আরো উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন ও মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রহমান ভুট্টো, মহানগর মহিলা দলের আহবায়ক রওশন আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার, মুসলেমা বেলী, রোজি, জরিনা, গুলশান আরা মমতা ও মহিলা নেত্রী উম্মে হানি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান বক্তা বলেন, আববারকে নিশংস্বভাবে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। মেরে ফেলার পূর্বে পানির চাইলে আবরারের মুখে প্রসাব করে দেয় এই খুনিরা। বর্তমান সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এর প্রতিবাদ করতে সরকার বাধা প্রদান করছে।

মিনু বলেন, ২০০৪ সালে রাজশাহীকে শান্তির শহর হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছিলেন। এর স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছিলেন কিন্তু আজ রাজশাহীর দুই কুলাঙ্গার শিক্ষার্থী রবিন ও অনিক রাজশাঞীর ঐতিঞ্য নষ্ট করেছে। তিনি এই দুইজনসহ সকলের ফাঁসি দাবী করেন। সেইসাথে এদের পরিবারের সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সকলকে রাজপথে থাকার আহবান জানান তিনি।

উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা আববার হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। সেইসাথে বেগম জিয়ার নি”শর্ত মুক্তি দাবী করেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *