বাঘায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় নাজমুল হোসেন নামের পঁচিশ বছর বয়সের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তের দল। ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সের সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করে।

আহত হয়েছে তারিকুল ইসলাম ও তার বাবা শাহজাহান মাস্টার নামের দুইজন। মঙ্গলবার (১৪-০১-২০২০) মাগরিব নামাজের আগে বাঘা-লালপুর সীমান্তের সুলতানপুর ও মনিহারপুর গ্রামের ভোলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল সুলতানপুর গ্রামের আলহাজ্ব আজিজুর রহমান ওরফে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঘা উপজেলার সুলতানপুর ও লালপুরের মনিহারপুর গ্রামের ১৫-২০ জন যুবক ধারালো অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে শাহাজান মাষ্টারকে আক্রমণ করে। এ খবর পেয়ে লালপুরের নওপাড়া বাজার থেকে সেখানে যায় নাজমুল হোসেন ও তারিকুল ইসলাম। পরে ওই যুবকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করে।

নাজমুল ও তরিকুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুন নাহার কান্তা নামুলকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।

আহত নাজমুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শাহাজান মাস্টারকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নাজমুলের মরদেহ পড়েছিল।

আহত যুবক তারিকুল ইসলাম জানান, তার বোনকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করতো লালপুরের মনিপুর গ্রামের আরজেদ আলির ছেলে সুমন। ঘটনার জের ধরে এই দিন মঙ্গলবার মনিহরপুর ও সুলতানপুর গ্রামের সুমন, সম্রাট, সুলতান, আরিফ, নাজমুল, মিঠু ও রামকৃষ্ণপুর এর কামরুল, সহ ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সের ১৫-২০ জনের একটি দল তার বাবা শাহাজান মাস্টার এর উপর আক্রমণ চালায়।

মুঠোফোনে দেওয়া এ খবর জানার পর নওপাড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে সেখানে যায় তার মামা নাজমুল ও সে নিজে। সেখানেই নাজমুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাঁধা দিতে গিয়ে তাকেও জখম করে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ঘটনা জেনেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *