পুঠিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে স্কুলের মধ্যে দুই শিক্ষিকার মারামারি

রাজশাহী লীড শিক্ষা

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গন্ডগোহালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকার মারামারিতে আহত হয়েছেন মেয়র পত্নী ও সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগি থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাখী দেবী ভাদুড়ী বলেন, সহকারী শিক্ষিকা সামসুনাহার রিনা ও নুরজাহান আক্তার মিনু সর্ম্পকে দুইজন আপন জা হোন। দীর্ঘদিন থেকে তাদের পারিবারিক বিরোধের জেরে দু’শিক্ষিকার মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। আমি এই বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং তাদের মধ্যে আক্রশ বেড়ে যায়।

সে সূত্রে গত মঙ্গলবার দুপুরে টিফিন চলাকালীন সময় ওই দু’শিক্ষিকার মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু মাটিতে লুটিয়ে পড়েনে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি ও শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনুর স্বামী মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি যে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেটা মানতে চায় না সহকারী শিক্ষিকা সামসুনাহার রিনা ও তার স্বামী আমার বড় ভাই আব্দুর রউফ। তারা প্রতিনিয়ত স্কুলে একক প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালায়।

বিষয়টি আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা কোনো সুরাহা করছেন না। ওই শিক্ষিকা ও তার স্বামীর অপকর্মের বিষয়টি আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করলেই তারা আমার স্ত্রীকে সার্বক্ষণিক শারিরীক মানুষিক ভাবে লাঞ্চিত করে।

এর মধ্যে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমার স্ত্রীকে সকলের সামনে ব্যাপক মারধর করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসকরা তার গর্ভের বাচ্চা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। আমি দোষীদের আইনি ভাবে বিচার দাবী করছি।

এ বিষয়ে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সামসুনাহার রিনার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দু’শিক্ষিকার মধ্যে হাতাহাতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, গন্ডোগোহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’শিক্ষিকার মধ্যে মারামারির ঘটনার বিষয়টি শুনেছি।

সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু অপর এক শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সূত্র: সাহেববাজার।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *