সান্তাহারে উদ্বোধনের ১৪ বছরেও চালু হয়নি হাসপাতাল

চারণ সংবাদ জাতীয় লীড

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সান্তাহারের রথবাড়ি এলাকায় ২০ শয্যার হাসপাতালটি উদ্বোধনের ১৪ বছর পরও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। নিয়োগ করা হয়নি জনবল। রক্ষণাবেক্ষণেরও ব্যবস্থা নেই।

পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় হাসপাতালের ভেতরে আগাছা ও জঙ্গলে ভরে গেছে। দেখভালের কেউ না থাকায় হাসপাতালটি মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজার রহমান তুহিন জানান, হাসপাতালে কোনও জনবল নেই। ভবনটি সংস্কারের জন্য গণপূর্ত বিভাগ ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে চিঠি দেওয়া হলেও কাজ হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি হাসপাতাল নির্মাণের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (সিএমএমইউ) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও তত্ত্বাবধানে প্রায় তিন কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হঠাৎ করে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের তৎকালীন বিএনপির সংসদ সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। এরপর ১৪ বছর পার হলেও সেখানে কোনও লোকবল নিয়োগ বা কোনও মেশিনপত্র দেওয়া হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের কেউ না থাকায় হাসপাতাল চত্বর আগাছায় ভরে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, নজরদারির না করায় হাসপাতালটি মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরাও সেখানে মাদক সেবন করতে যায়।

আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা জানান, উদ্বোধন হলেও হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়রা চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। নজরদারি করার কেউ না থাকায় হাসপাতাল মাদকসেবীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।

অবিলম্বে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হাসপাতালটি চালুর দাবিতে ‘সান্তাহার অসমাপ্ত হাসপাতাল সমাপ্তকরণ বাস্তবায়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সান্তাহার রেলগেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এতেও কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ২০ শয্যার হাসপাতালটি কবে নাগাদ চালু হবে তা জানেন না। এ দায়িত্ব স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *