আবারও রাজশাহী মহানগর আ’লীগে লিটন এবং ডাবলু সরকারের নেতৃত্ব চান তৃণমূল

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে মোড়ে মোড়ে ঝুলছে রঙিন পোস্টার-ব্যানার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন পদপ্রত্যাশী নেতা ও তাদের সমর্থকরা। আগামী ১ মার্চ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।

এ উপলক্ষে কাজ করছে ৯টি উপকমিটি। শুরু হয়েছে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ। কাউন্সিলরদের সমর্থন পেতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। পাশাপাশি দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গেও রাখছেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে মহানগর সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সামনে রেখেই বিভিন্ন পদের প্রত্যাশা করছেন নেতাকর্মীরা। যারা পদে আছেন, চেষ্টা করছেন নিজ নিজ পদ ধরে রাখতে। কেউ কেউ পদোন্নতির আশায় ছুটছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। আবার কাউন্সিলরদের কাছেও যাচ্ছেন। লিটনের সমর্থন পেতে তার কাছেও ধরনা দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।

কারণ নেতৃত্ব আর ব্যক্তিত্বের কারণে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে লিটন রয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে ডজনখানেক নেতা মাঠে রয়েছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে লিটন ও ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগরে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। অতীতে রাজশাহীতে বিএনপি-জামায়াতের সহিংস কর্মসূচি মোকাবেলায় লিটন-ডাবলু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন।

আর এ কারণেই এক সময়ের জামায়াত-বিএনপির শক্ত ঘাঁটি রাজশাহীতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। সমর্থকরা চাইছেন লিটন-ডাবলু কমিটি আরও তিন বছর রাজশাহীতে কাজ করুক। এতে রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাংগঠনিক শক্তি আরও সংহত হবে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামালের বক্তব্যও তাই। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে দল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। দলের এই শক্তিকে ধরে রাখতে যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। রাজশাহীর নেতৃত্ব যদি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা আর বোঝাপড়ার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারেন তাতে কেন্দ্রের আপত্তি নেই। তবে সমঝোতা না হলে কাউন্সিলরদের ভোট দিতে হবে।

অন্যদিকে মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ বলেন, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে আবারও একই পদে দেখতে চান নেতাকর্মীরা। ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, লিটন-ডাবলু কমিটি মহানগরের এ যাবৎকালের সেরা কমিটি। তাদের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীরা আস্থাশীল। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবরের সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ডাবলু। সূত্র: যুগান্তর।

তিনি আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন বলে নেতাকর্মীরা আশাবাদী। ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিমাদ্রি প্রাসাদ রায় লিটন বলেন, দীর্ঘ তিন যুগ থেকে ডাবলু সরকার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। খায়রুজ্জামান লিটনের মতো যোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরেই ডাবলু রাজনীতিতে পরিণত হয়েছেন।

এদিকে সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি তৃতীয় পক্ষ ডাবলুর চরিত্র হননে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বাবুল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এই অপপ্রচারের পেছনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের সাবেক এক প্রভাবশালী নেতার ভাগ্নে জড়িত।

এ ব্যাপারে ডাবলু সরকার বলেন, আমি যদি রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক তৈরি করে থাকি, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে থাকি- তবে নেতাকর্মীরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আস্থা আছে। আশাকরি আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তারা যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেবেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *