স্টাফ রিপোর্টার: মানুষের পাশাপাশি ক্ষুধা যন্ত্রণা শুরু হয়েছে প্রাণীদের মধ্যেও। বিশেষ করে শহরের আনাচে কানাচে কুকুরগুলো যেন চুপসে গেছে। লকডাউনের পর থেকে ঠিকমত খাদ্য পাচ্ছেনা। এদিকে হোটেল রেস্তোরাগুলো বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।
এখন আর হোটেলের সামনে তেমন ভীড় চোখে পড়ে না। বিভিন্ন মোড়ে শুয়ে থেকেও দিন যেন যাচ্ছে না তাদের। ঠিক এমন সময় অভুক্ত প্রাণীদের পাশে এগিয়ে এসেছেন কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংঘের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার রাতে নগরীর মতিহার থানার সামনে অবস্থান করা কিছু কুকুরদের খাদ্য দিয়েছেন সংগঠনের নেত্রবৃন্দ। এর মধ্যে ছিলো রুটি। কয়েক দিন পর খাদ্য পেয়ে অনেকটা সজীবতা ফিরে পায় কুকুরগুলো।
এসময় মারুফ নামের এক ব্যাক্তি জানান, মানুষ যেমন খাদ্য সংকটে রয়েছে ঠিক কুকুরগুলোরও অবস্থা একই রকম। ঠিকমত খেতে না পারায় তাদের শরীরে ছাপ পড়েছে। অভুক্ত প্রাণীদের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংঘ। যা খুবই মানবিক দৃষ্টান্ত। কারন ক্ষুধার জ্বালা সবাই অনুধাবন করতে পারে না, যেটি করেছেন এই সংঘের নেতৃবৃন্দ।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংঘের উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি এবং উন্নতি কামনা করছি। এই সংগঠন যেন এভাবেই অসহায়, দুস্থ্ মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলের প্রতি সদয় থাকে।
কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংঘের সদস্য ফটো সাংবাদিক মোঃ শামীম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউন চলছে। ফলে বড়-ছোট সবধরনের রেস্টুরেন্ট এবং বেকারীও বন্ধ রয়েছে। এ পরস্থিতিতে অভুক্ত রয়েছে রাজশাহী নগরীতে ঘোরাফেরা করা কুকুরগুলো।
খাবারের দোকানগুলো বন্ধের পূর্বে বেশী রাত করে বাসায় ফিরলে শহরের বিভিন্ন সড়কে কুকুরের ডাকে ভয় পেতো অনেকেই। কিন্তু খাবারের দোকান বন্ধের পর থেকে কুকুরগুলো অভুক্ত থাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকে। আগের মত হাকডাক নেই বললেই চলে।
সেই দিক বিবেচনা করে অনাহারে থাকা এসব কুকুরগুলোকে খাবার দেয়া হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত খাবার হোটেল ও বেকারী বন্ধ থাকবে ততদিন পর্যন্ত তাদের এ খাবার দেয়া অব্যাহত থাকবে।
অভুক্ত কুকুরগুলোকে খাবার খাওয়াতে সাহায্য করেন কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংঘের সদস্য সোহরাব হোসেন জুয়েল, মোঃ ইসমাইল, মোঃ আবদুল্লাহ আল মুরাদ ও বিশাল প্রমূখ।
স্ব.বা/শা