বাঘা পৌরসভায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শতাধিক বাড়ির উঠানে বন্যার পানি

লীড

বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা পৌর এলাকায় ভারিবর্ষনের কারনে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। ফলে গরু-ছাগল ও ছোট শিশুদের নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
জানা যায়, কয়েক দিন থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। এই বর্ষনে পৌরসভার ৬ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়িতে পানি জমে আছে। এমনকি ঘরের বারান্দা পর্যন্ত পানি অবস্থান করছে। এই পানির মধ্যে গরু, ছাগল পালনকারীরা পড়েছে মাহাসমস্যায়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
রোববার (১২ জুলাই) বাঘা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাজুবাঘা নতুনপাড়া মহল্লায় সরেজমিনে দেখা যায়, আরজিনা বেগম, শকিনা বেগম, শাপলা বেগম, আমেলা বেগম, জিল্লুর রহমান, আমিনুল ইসলাম উকিল, আব্দুল হাকিম, হাসান আলী, জাব্বার আলী, বাদশা আলী, আব্দুল মান্নান আলী, রফিকুল ইসলাম বাবু উদ্দীন, মহির উদ্দীন, সাহাব উদ্দীন, রবিউল ইসলাম, ছাইমুউদ্দীন, আক্কাছ আলী, আফজাল আলী, নাসির উদ্দীন, সাহা আলী, জমসেদ, সলিমান, কায়েম উদ্দীন কটা উদ্দীন, বাক্কার উদ্দীন, সামা আলী, সামছুল আলী, আছিয়া বেগম সাপ্তাত আলী, সালাম, কালাম নহাসিন, তাহসিন এনামুল হক ইদ্রি, মধু আলী, রিন্টু আলী, দুলাল আলী, নিখিল আলী, কাজল আলী, মোলাম আলী, আলাল আলী, হুমায়ন আলী, আশি, ছাপিয়া বেগম, আজিজুল, বুলবুল, আলিয়া বেগম, জয়নাল আলী, বিশ্বু আলী, আব্দুর সাপ্তার, আজাদুল আলী, সুজন, হাজিরা বেগম আহাদ আলী, কুদ্দুস আলী, মামুন আলী, আল-আমিন, কিবরিয়া, আবু বাক্কার, কাউছার আলী, আকরাম আলী, হাফেজ আলী বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। এছাড়া তারা বাড়ির বাইরে যেতে পারছেনা।
বাঘা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাজুবাঘা নতুনপাড়া মহল্লার আজিজুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ যাবত ৯টি গরু নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি। আমার বাড়ির উঠানে ও গরুর গোয়াল ঘরে পানি উঠেছে। ফলে গরু নিয়ে খবু কষ্টে আছি। অবশেষে ভাগ ভাগ করে পাশের দুই বাড়িতে গরু রাখা হয়েছে। বিষয়টি পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে আরজিনা বেগম, শকিনা বেগম, শাপলা বেগম, আমেলা বেগমের বাড়িতে পানি উঠায় রোববার দুপুরে অন্যের বাড়ি থেকে রান্না করে আনা হয়েছে। গরু, ছাগল ও ছোট বাচ্চাকে নিয়ে খুব বেকায়দায় রয়েছি। আমাদেও এই মহল্লার শতাধিক বাড়িতে পানি টলমল করছে। এই পানির মধ্যে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
বাঘা পৌর মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, এবার বর্ষার পরিমানটা বেশি মনে হচ্চে। তারপরও বেশি সমস্যাগুলো চিহৃত করে পানি নিস্কাশনের দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্প তৈরী করা রয়েছে, বর্ষা শুরু হওয়ার কারনে কাজটা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তারপরও দুই/এক দিনের মধ্যে পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *