তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে দিনে দুপুরে এক গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ ২জনকে আসামী করে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের গঙ্গা রামপুর বলদী পাড়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের মালবান্দা গ্রামের আফতাব হোসেনের মেয়ে রহিমা খাতুন (৩৮)কে ১৮বছর আগে গঙ্গারাম পুর বলদী গ্রামের মৃত অসিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৬) শরিয়ত মাফিক বিবাহ হয়। তাদের বিয়ের ১৮বছর সংসার জীবনে ২টি ছেলে সন্তান হয়েছে। বড় ছেলের নাম আরিফ (১২) ও ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ (৭)। জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম বিয়ের পর থেকেই তার বউকে দিয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি মাঝে মধ্যেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে বউকে মারপিট করা সহ বিভিন্ন ভাবে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। এতে করে রহিমার বাপের বাড়ির লোকজন জামাইয়ের নিষ্ঠুরতার কাছে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। কিন্তু এখন আর রহিমাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য নির্যাতন সইতে হবে না। রহিমা তার ২ সন্তান রেখে ওপরে পাড়ি দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রহিমাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতো। যদি বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা না আনলে শুরু হয় রহিমার উপর নির্মম নির্যাতন। তবুও ২টি সন্তানের দিকে চেয়ে রহিমা স্বামীর সংসারে পড়ে থাকতো। কিন্তু রহিমা খাতুন এবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায় রহিমার স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও সহযোগী বাঘা মিলে দিনেদুপুরে ঘরের ভিতরে গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। মেয়েকে হারিয়ে কাতর নিহত পিতা আফতাব হোসেন এ প্রতিবেদক কে বলেন, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে টাকা নিতো। এতে করে প্রায়দিন জামাইয়ের মেয়েকে দিয়ে টাকা চাওয়ার জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবার আবারো মেয়েকে টাকা আনতে আমার কাছে পাঠালে মেয়ে আসতে অসম্মতি করলে পরিবারের লোকজন দিনে দুপুরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, এবিষয়ে নিহত গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলার দায়ের করেছেন, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রির্পোট আসলে বোঝা যাবে হত্যার রহস্য।
স্ব:বা/না