বাঘায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের মামলায় গ্রেফতার হয়নি কেউ, পিছিয়ে গেল মেহেদীর পরীক্ষা!

লীড শিক্ষা

বাঘা প্রতিনিধি:
বাম কানের নীচে গলায় ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখমের ক্ষত। গলায় কোপানো জায়গায় ভেতরে ও বাইরে মিলে সেলাই দেওয়া হয়েছে বাহান্নাটি। এর তুলনায় কিছুটা কম সেলাই রেেয়ছে পিঠে সহ শরীরের অন্যান্য জায়গায়। চাইনিচ কুড়াল ও ধারলো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এইচএসসি এক পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার একদিন আগে (৩০মার্চ) মেহেদি হাসান বাকি নামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এর ফলে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি মেহেদি হাসান বাকি। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে আঘাতের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতর।

সে উপজেলার তুলশিপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে। গত ৩০ মার্চ রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে উদ্ধার করে বাঘা হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে বাঘা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা হলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বৃহসপতিবার (১১-০৪-১৯) হাসপাতালে কথা হলে ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাবুল ইসলাম বলেন, উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের দুই ছেলে-মুকুল (৩০) ও বকুল (২২)সহ মনিগ্রাম বাজার এলাকার কুদ্দুস ডাকাতের ছেলে বাপ্পি এবং তুলশিপুর গ্রামের শুকটা ওরফে হান্নানের ছেলে সাগর আলীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

আহত মেহেদি হাসান বাকি জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলাম। রাত ৮টার দিকে মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা তাকে মনিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর চাইনিচ কুড়াল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে গলায় কুপিয়ে জখম করে। পরে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারি কুপাতে থাকে। এর ফলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জের ধরে তাকে আহত করা হয়েছে বলে শোনা গেলেও বিষয়টি স্বিকার করেননি মেহেদি হাসান। মামলার পর আতœগোপনে থাকায় অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান-অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন।

মামলার তদন্তকারি অফিসার (ওসি তদন্ত) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আতœগোপনে থাকায় আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টায় তৎপর রয়েছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *