প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তিতে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের আয়োজনে ২৫,২৬, ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট’, রাজশাহী-২০২২। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট’ প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ও অনুষ্ঠানের রূপরেখা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। সভায় উপস্থিত বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও প্রস্তাব ব্যক্ত করে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট’ এর সফলতা কামনা করেন।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের স্মৃতিবিজড়িত রাজশাহীতে বাংলাদেশ-ভারত কালচারাল মিট অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এ জন্য শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
মন্ত্রী আরো বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। আমরা যদি প্রতিবেশির সাথে সামাজিক সম্পর্ক রাখতে না পারি তাহলে কোন দিনই আমরা কোন উন্নতি করতে পারি না। আমরা যদি বাড়ীর আশেপাশের সামাজিক জীব হিসেবে বাড়ী পাশের লোকের সাথে সমাজ ব্যবস্থা ও সামাজিক মনোভাব গড়ে তুলতে না পারি তাহলে আপনার সংসারে বা এলাকাতে সুখ আসবে না। সে কারণে আমি বলতে চাই, যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ১ কোটি মানুষকে খাইয়ে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করে ভারত আমাদেরকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে আহবান এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। সংগ্রামে অন্যরা আমাদের কে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। এটা আমাদের ভুলার না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে এ কালচারটা শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ভুলি নাই ভুলব না এই চিন্তা করেই এই সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ভাষা আন্দোলনের মাসেই এই জায়গায় ভারত বাংলাদেশ কালচারাল মিট অনুষ্ঠান আমি মনে করি। এটি যুগপযোগী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই কালচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। উভয় দেশের ব্যবসা, কৃষিসহ আর যে সমস্ত বিষয়গুলি আছে, আমরা এর মাধ্যমে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সুরাহা করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস ।
কমিটির আহ্বায়ক ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই দেশের মৈত্রী আরো চিরঞ্জীব করে রাখবার জন্যে আমাদের এই আয়োজন। এই আয়োজনটি উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার হয়েছে। এবার সৌভাগ্যবশত রাজশাহীতে হতে যাচ্ছে। আয়োজন উপলক্ষে রাজশাহীকে বর্ণিলভাবে সাজানো হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে প্রায় ৬০ জনের মতো প্রতিনিধি দল আসবেন, তার মধ্যে চারজন প্রাদৈশিক মন্ত্রী থাকবেন, সাংস্কৃতিক টিম ও মিডিয়া প্রতিনিধি থাকবেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে উৎসব শুরু হবে। বিকেলে ঐতিহাসিক রাজশাহী কলেজ মাঠে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে অনুষ্ঠানটি তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে আমন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ অতিথিবৃন্দ দুই দেশের সম্প্রীতির ব্যাপারে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে ব্যবসায়িক ব্যাপারেও আলোকপাত করা হবে। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের তারকা শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট’ এর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে মন্ত্রীবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য অতিথিদের আগমন ।
স্ব.বা/ রু