সারোয়ার হোসেন, তানোর: কালের পরিবর্তনে দিন দিন ডিজিটাল যুগের কাছে হারিয়ে যাচ্ছে আদিকাল থেকে ব্যবহার করা গ্রামগঞ্জের গৃহিণীদের মসলা বাটা যন্ত্র পাথরের শীল পাটা। এ শীল পাটায় একমাত্র মসলা গুঁড়া করার জন্য ছিলো ভরসা। কিন্তু কালের পরিবর্তনে বর্তমান ডিজিটাল যুগে আর গৃহিণীদের শীল পাটায় মসলা খুব একটা পিষতে হয়না। এখন হাত বাড়ালেই বাজারে মিলছে হরেক কোম্পানির বিভিন্ন রকমের মসলা বাটা। অথচ একসময় গৃহিণীদের কাছে নিত্য দিনের সঙ্গী ছিলো শীল পাটা। এমনকি বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে যেকোন অনুষ্ঠানে সারি সারি হয়ে শীল পাটা নিয়ে মসলা বাটা পিষে তৈরি করে রান্না করা হতো।
প্রায় ৪০বছর ধরে বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে শীল পাটায় ধার কেটে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো উপজেলার তালন্দ ইউপির দেবিপুর (সালামপুর) গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা জবেস্বর কর্মকর বলেন,খুব অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারিনি। সংসারে অর্থ যোগান দিতে অল্প বয়সে এ শীল পাটা ধার কাটা কাজ শুরু করি। এখনো আমি এ পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। এবং শীল পাটায় ধার কেটেই আমি আমার সংসার চালাচ্ছি। তবে এখন তেমন আর শীল পাটা ধার কাটা কাজ পাওয়া যায়না।
সারাদিনে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে ঘুরে কোন দিন ৪ থেকে ৫টি আবার কোন দিন ২টিও পাওয়া যায়না শীল পাটায় ধার কাটা কাজ। আর কিছু দিন পরে হয়তো দেখায় পাওয়া যাবেনা পাথরের শীল পাটা বলে ভারাক্রান্ত মনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শীল পাটা ধার কাটা মিস্ত্রি জবেস্বর কর্মকর।
স্ব.বা/বা