রাজশাহীতে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভকে রশি দিয়ে বাঁধায় প্রতিবাদ সমাবেশ

রাজশাহী লীড সারাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর রাজশাহী মেডেকেল কালেজ (রামেক) হাসপাতালের বহি:বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন রোগীরা। সেই রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলার অভিযোগ ওঠে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভদের বিরুদ্ধে। ঐ হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসাররা  রোববার কয়েকজন রিপ্রেজেন্টিভকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখায়রাজশাহী মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টিটিভ এ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে  রিপ্রেজেন্টিভরা।

রোববারের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৭ জুন) সকাল ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালের বহি:বিভাগের সামনে প্রতিবাদ মানববন্ধন করে সেই সাথে ওষধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন  রিপ্রেজেন্টেটিভরা।

মানববন্ধনে রিপ্রেজেন্টিটিভরা অভিযোগ করেন, রিপ্রেজেন্টিটিভদের অমানবিক ও মধ্যযুগিয় বর্বরতার মতই মিথ্যা অভিযোগ তুলে আনসার সদস্যরা আমাদের কমরে রশি বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখে। যা অত্যন্ত মানহানিকর ও লজ্জাজনক। আমারও দেশ সেবায়, ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের নিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছি। তারা যদি হাসপাতলে প্রবেশ করতে পারে তাহলে আমরা কেনো পারবো না?

এমন হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তারা আরো বলেন, এরপর থেকে যদি আসনার সদস্যরা হাসপাতলে ঢুকতে না দেয়, অপমান করেন তাহলে আর বসে থাকবেন না এর তীব্র প্রতিবাদ করবেন তাদের হাতের লাঠি ভেঙ্গে দিবেন । কোন অন্যায় সহ্য করবেন না।

ভূক্তভোগী একমি ফার্সাসিউটিক্যালের রিপ্রেজেন্টিটিভ আল-আমিন বলেন, প্রতিদিনের কাজের মতই আমার হাসপাতলের সামনে অবস্থান করছিলাম। এক পর্যায়ে আনসার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যায়। এমন নির্যাতন জাহেলিয়া যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়। আমরা এর প্রতিবাদ জানায়।

বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টিটিভ এ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের রিপ্রেজেন্টিটিভদের রামেক হাসাপাতালের আনসার রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা রিপ্রেজেন্টিটিভদের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে কর্মবিরতি করে ওষধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত রিপ্রেজেন্টিটিভরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাসপাতালের মেইন গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় গেটে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাদের বাঁধা দেয়। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রিপ্রেজেন্টিটিভরা হাসপাতালের গেট থেকে বের হয়ে যায়।

স্ব.বা/

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *