স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজতে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সেই মামলার শুনানিতে ১ মাসের মধ্যে কমিশন গঠন করে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। শুনানিতে সেতু কর্তৃপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, শুধু ড.ইউনূস নয়; আরও অনেকেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের নেপথ্যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল বলে মনে করে সরকার। বলা হয়ে থাকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ হারানোর পর অর্থায়ন বাতিলে তদবির করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠনে ৭ বছর আগে আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। এরপর কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও আর আলোর মুখ দেখেনি।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সেই মামলার শুনানিতে শেষে ১ মাসের মধ্যে কমিশন গঠনের আদেশ দেয়া হয়েছে উচ্চ আদালত থেকে।
ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল এ কে এম এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে হাইকোর্ট দায়িত্ব দিয়েছেন কমিশন গঠনের এবং এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
দুদক ও সেতু কর্তৃপক্ষের সেতু কর্তৃপক্ষের আইনজীবী আব্দুন নূর দুলাল জানান, তদন্তে মুখোশ উন্মোচিত হবে ষড়যন্ত্রকারীদের।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার চুক্তি করেছিল বিশ্বব্যাংক। জাইকা, এডিবি, আইডিবিও ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার চুক্তি করে। কিন্তু কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরে যায় দাতা সংস্থাগুলো। অথচ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের সপক্ষে তারা কোনো তথ্যপ্রমাণও দিতে পারেনি। কানাডার আদালত থেকেও বলা হয়েছে- দুর্নীতির অভিযোগ গালগল্প ছাড়া কিছুই নয়।
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা শেষে গত ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতু।
স্ব.বা/ম