কমলাপুরে ট্রেনের টিকিট পেতে টানা দুদিন যাত্রীদের অপেক্ষা 

অর্থনীতি বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: কমলাপুর স্টেশন, ইদ এলেই ভোগান্তির একটি জায়গা হয়ে দাড়ায়। কাউন্টারের সামনে দিন-রাত টানা অপেক্ষা। আর টিকিট যেন সোনার হরিণ। ভিড় আর গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। অনলাইন ওয়েবসাইট কিংবা ‘রেল সেবা’ অ্যাপ কাজ না করায় কাউন্টারে আসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বেশির ভাগ মানুষের।

অনেকেরই অপেক্ষা টানা দুদিন ধরে। যারা ৫ তারিখের টিকিট পাননি তারা শুক্রবারই (১ জুলাই) দাঁড়িয়েছেন লাইনে। শনিবার (২ জুলাই) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও আগের দিন দুপুর থেকেই কাউন্টারের সামনে শুরু হয় টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন। একদিকে গাদাগাদি ভিড়, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল টিকিটপ্রত্যাশীরা।

তারা বলছেন, খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আসা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অনেককেই রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।

এখনো অনলাইন ওয়েবসাইট কিংবা ‘রেল সেবা’ অ্যাপ সঠিকভাবে কাজ না করা এবং অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।

টিকিটপ্রত্যাশীরা বলছেন, অনলাইনে টিকিট কাটতে অনেক চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। আর এখানে এক দিন আগে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছেন না।

১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষার শত ঝক্কি-ঝামেলা সহ্য করে শেষমেশ যারা পেয়েছেন টিকিট, তাদের যেন শুরু হয়ে গেছে ঈদের আনন্দ।

তারা বলছেন, ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। ব্যবস্থাপনা অসন্তোষজনক। তবুও টিকিট পেয়ে ভোগান্তি ভুলে গেছি।

এদিকে চাহিদার তুলনায় রেলের টিকিটের সক্ষমতা কম মেনে নিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সক্ষমতা না বাড়া পর্যন্ত ভোগান্তি কমবে না। শনিবার দুপুরে কমলাপুরের টিকিট কাউন্টার পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী।

তিনি বলেন, টিকিটের চাহিদা এবং আমাদের সক্ষমতার ফাঁরাক রয়েছে। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কমাতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যা খুব বেশি কমাতে পারব না।

এবার ছয় জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একই সঙ্গে ঈদযাত্রায় যুক্ত হবে অতিরিক্ত ৬৭টি কোচ।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *