রাজশাহীতে বেড়েছে করোনা পজিটিভের সংখ্যা, দৃষ্টি ব্যক্তিগত সচেতনতায়

জাতীয় রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীতে গত সোমবার একজন রোগী করোনায় সনাক্ত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রামেক হাসপাতালের বিজ্ঞপ্তিতে লক্ষ্য করা গেছে, এই দিনে করোনা পজিটিভ হিসেবে ৯ জন রোগী সনাক্ত হয়েছেন। অসেচতনতায় মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও বাড়তে পারে করোনা পজিটিভের সংখ্যা বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার ৩১ জনের করোনা টেস্ট করা হয়। যেখানে ১ জন করোনা পজিটিভ হয়। সেই দিন, পাবনার ১ জন ৯০ বছর বয়সী করোনা ‍উপসর্গ নিয়ে ১০ দিনের মাথায় মারা যায়। নওগাঁর একজন ৩ দিনের মাথায় করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এই দিনে রাজশাহীতে করোনার হার ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ দেখা যায়।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ৩৭ জনের করোনা টেস্ট করা হলে ১১ জন পজিটিভ রিপোর্ট আসে। যেখানে রাজশাহীর ৯ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন। এই দিনে মৃত্যু না হলেও একদিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে করোনার হার দেখা গেছে ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে ০ দশমিক ০ শতাংশ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশে পৌঁছে গেছে।

রাজশাহী শহরের  কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দফতর ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা কিছু সচেতন ব্যক্তি মাস্ক ব্যবহার করছেন। করোনার বুস্টার ডোজ নেয়ার পর ভুলতে বসেছেন করোনার ভয়াবহতার কথা। কিন্তু, প্রায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হচ্ছে সেই সাথে রামেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়ছেন অনেকেই । এমনটি জানাচ্ছিলেন সচেতন মহল।

রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গার সাধারণ মানুষের সাথে স্বদেশ বাণীর প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, সচেতনার বালাই নেই। কেউ করোনার ২য় ডোজ নিয়েছেন আবার কেউ বুস্টার নিয়েছেন। মাস্ক বা স্যানিটাইজার কোন দরকার নেই বলে জানিয়েছেন।

গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী থেকে ইসরাইল নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, স্কুলে পড়ুয়া কিছু শিক্ষার্থী  মাস্ক পরে। তাও ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জানে না। গোদাগাড়ীর সরকারি দফতরগুলোতে স্যানিটাইজার বা মাস্ক নেই বললেই চলে। খুব সমস্যা না হলে মিটিংগুলোতেও কাউকে মাস্ক পরা দেখা যায় না।

বাগমারার গরুর ব্যবসায়ী সোহরাব বলেন, হাট বাজারগুলোতে মাস্ক পকেটে না হলে গলায় ঝুলানো মানুষের অভাব নেই। ব্যক্তিগত সচেতনতা কারোরই নেই। আমরা গরু সামলাতে ব্যস্ত থাকি।

মোহনপুর থেকে কলেজের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম বলেন, সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানো আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। করোনার সময় দেখা গিয়েছিল সাবান দিয়ে হাত দোয়া সহ দূরত্ব বজায় রাখার প্রবণতা। এমনকি চায়ের দোকানগুলোতেও সর্তকতা। এখন সবই তুচ্ছ হয়ে গেছে সকলের কাছে।

রাজশাহী সাহেব বাজার ইলেকট্রিক ওয়ার্ল্ডে থেকে রাজু খান জানান, শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব থাকতেই পারে। কারণ, বিভিন্ন দেশের মানুষ এই শহরে আসে। সরকারি অফিস সহ সকল অফিসে গেলে দেখি তাদেরই কোনো সচেতনতা নেই। সাধারণ মানুষ আমরা যতটুকু পারি ততটুকু চেষ্টা করি। বেশির ভাগ সময় সন্দেহভাজন মানুষ দেখলে মাস্ক ব্যবহার করি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ  ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, আগের করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। সনাক্ত মাঝে মধ্যে হচ্ছে অসচেতনতার অভাবে। তবে, প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। সুনাগরিকের পরিচয় বহন করলেই তেমন কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

স্ব.বা/ম

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *