রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা: মন্ত্রী ও সচিবকে আইনের আওতায় আনা উচিত

গণমাধ্যম বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: একজন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ঢুকতে পারে না, ঠিক তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় রাজাকারের নাম আসতে পারে না। এটা গোটা জাতির জন্য বেদনাদায়ক। গোটা জাতিকে বিজয়ের দিন বিষাদগ্রস্থ করে দিয়েছে। আর যারা স্বাধীনতার শক্তি তাদের মুখে উল্লাসের হাসি তুলে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রহস্যজনক, আমরা বললো গভীর ষড়যন্ত্র। এই অপরাধে মন্ত্রী ও সচিবসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের কোন ক্ষমা নাই, এটা ক্ষমা করা যায় না।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চ্যানেল আই’র ‘আজকের সংবাদপত্র’ টকশোতে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গোটা বাঙ্গালি জাতির সারা বছরের গৌরব বা অহংকার বা জন্ম পরিচয়ের ঠিকানা হলো মহান মুক্তিযুদ্ধ। এটা একটা মিমাংসিত বিষয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে, আওয়ামী লীগ বলেছে, আমরাও বলেছি। এটা একটা বেদনাবহক ঘটনা যে, আমরা এতদিন বলেছি যুদ্ধ অপরাধী বা স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে।

কিন্তু ১১ বছর আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় সেখানে একজন মু্ক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক, ভাষা আন্দোলনের মহান নেতা এবং আদালত পাড়ার পবিত্র পুরুষসহ বিশেষ করে শহীদ পরিবারের সন্তানদের শহীদদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি রাজাকারের তালিকায়। এমনকি বঙ্গবন্ধু ৬৯-এর পর রাজশাহীর এডভোকেট সালাম সাহেবের বাসায় উঠেছিলেন। অনেক বঙ্গবন্ধু ওই বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন।

তিনি একজন আওয়ামী লীগ নেতা, তার পরিবারের ৫ জন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হয়ে ভারতে ছিলেন। তার নামও তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। এমনকি সিরাজগঞ্জের আবদুল লতিফ মির্জা সম্পর্কে গোটা বাংলাদেশ জানে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তার বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তার নামও রাজাকারের তালিকা এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রহস্যজনক, আমরা বললো গভীর ষড়যন্ত্র। এই অপরাধে মন্ত্রী ও সচিবসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের কোন ক্ষমা নাই, এটা ক্ষমা করা যায় না, যোগ করেন তিনি। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *