রাজধানীর বাসা থেকে নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ

গণমাধ্যম

স্বদেশ বাণী ডেক্স: রাজধানীর রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের একটি বাসা থেকে এক নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সোহানা পারভীন তুলি (৩৭)। বুধবার বিকাল চারটার দিকে বাসার দরজা ভেঙে হাজারীবাগ থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহানার লাশ পাওয়া গেছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত জব্দের কাজ শুরু করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, সোহানা রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের ২৯৯/৫ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। তার ছোটভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি হাজারীবাগ এলাকাতে বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন। মাঝে মাঝে তিনি বোনের বাসাতে এসে থাকতেন।

সর্বশেষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে কাজ করেছিলেন সোহানা।তার বন্ধু রোকসানা মিলি গণমাধ্যমকে জানান, সোহানা বাংলা ট্রিবিউন ছেড়েছেন বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে। সর্বশেষ গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে সোহানার সঙ্গে কথা হয়েছিল।স্বাভাবিকভাবেই সোহানার সঙ্গে কথা হয়েছিল। অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। পরে আর তার সঙ্গে কথা হয়নি।

জানা গেছে, বুধবার সকালে নন্দীতা তাবাসসুম নামে এক বান্ধবী তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। ফোনে সাড়া না পেয়ে তিনি হাজারীবাগে তুলির বাসায় আসেন। দরজা নক করে সাড়া না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসায় ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সবাইকে খবর দেন। বিকালে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোহানার ছোটভাই মোহাইমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল যশোর থেকে তিনি ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠেন। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে তার বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বুধবার সকালে উঠে খিলক্ষেতে যান তিনি। এরপর সেখানে বিকাল ৩টার দিকে তার বাবা ফোন করে এ ঘটনার কথা জানান।

সোহানার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোহানা সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।

সোহানার বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সোহানা দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং সাব-এডিটর কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন সোহানা।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *