স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে বাঁশের সাকোঁই ভরসা কাপাসিয়া-শ্রীপুর উপজেলার শেষ প্রান্তের পাঁচ গ্রামের মানুষের। দুই উপজেলার সীমানা মারডাঙ্গী খালের উপর মৈশাধামনা-চরদমদমা গ্রামের ৭০ ফুটের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় ৮ বছর আগে। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয়রা চাঁদা তুলে ২০১৭ সালে সাঁকোটি অস্থায়ীভাবে চলাচলের উপযোগী করে। তাতেও দূর হয়নি দুর্ভোগ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশ ও কাঠ দ্বারা নির্মিত সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ। সাঁকোর কোন কোন স্থান থেকে কাঠের টুকরো খসে পড়ছে খালের পানিতে। বছরের অধিকাংশ সময় জুড়ে খালে পানির প্রবাহ থাকে। তাই সাঁকোর দুই পাশে বাঁশ ও কাঠের খুঁটি দিয়ে সাঁকোটি শক্ত করার চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। এছাড়া শ্রীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
মৈশাধামনা-সোমবাইরা বাজার সড়কের অটো রিকশা চালক জোবায়ের মুন্সি জানায়, এ রাস্তা দিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ শ্রীপুর যায়। সেতুর অভাবে অনেকে গাড়ি কাপাসিয়ায় রেখে হেটে খাল পার হয়।
মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, দমদমা, চরদমদমা এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী খাল পার হয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে। সাঁকো পারাপারে স্কুলের শিক্ষার্থী ও নারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বৃষ্টি এলে বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি কমে যায়।
চরদমদমা গ্রামের আবু তাহের বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের কাপাসিয়া সদরে যেতে হয়। সেতু না থাকায় চার পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। ইরি বোরো মৌসুমে ধানের বস্তা টানাটানি নিয়ে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সরকার বলেন, সাঁকোটির ব্যাপারে আমি জেনেছি। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। দ্রুত স্থানীয়দের দূর্ভোগ লাঘবে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। সূত্র: পূর্বপশ্চিম।
স্ব.বা/শা