বিতর্কিত সেই সাধনা এখনো বহাল তবিয়তে

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিতর্কিত জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর বরখাস্ত হলেও একই অপরাধে দোষী সানজিদা ইয়াসমীন সাধনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গোপনীয় শাখায় অফিস সহকারী পদে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গোপন কক্ষে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর বরখাস্ত, তার সিএ সাখাওয়াত হোসেন, ফরাশম্যান সরোয়ার হোসেন, জারিকারক হাফিজুর রহমান ও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী পারুল বেগমকে বদলি করলেও সাধনা গোপনীয় শাখাতেই রয়ে গেছেন। সাধনাকে বদলি বা তার কোনো শাস্তি না হওয়ায় গোপনীয় শাখায় কর্মরত থাকায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে ডিসি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা কর্মচারী সূত্রে জানা গেছে।

জামালপুরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী ডিসি কেলেঙ্কারি ঘটনায় জড়িত সানজিদা ইয়াসমিন সাধনারও শাস্তিমুলক ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে জামালপুরের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। গুঞ্জন উঠেছে, সাধনার শাস্তি না হওয়া এবং সাধনাকে বদলি না হবার পেছনে নাটের গুরু কে?

সাধনার সাথে সাবেক ডিসির যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ২৯ আগস্ট সাধনাকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেদিনই সাধনা ৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন। এর আগে ২৬ আগস্ট অফিসে এসে জ্ঞান হারান সাধনা। ২৭ আগস্ট থেকে ৩ দিনের ছুটির আবেদন করেন তিনি। এই ৩ দিনের ছুটি মঞ্জুর হয় তার। ২৯ আগস্ট অফিসে এসে তিনি ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের ৫ দিনের ছুটির আবেদন করলে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবারও ৩দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়। এই ছুটি শেষ হবার পর থেকে এখনও অফিসে এসে হাজিরা খাতায় শুধু স্বাক্ষর দিয়ে বাড়ি চলে যান সাধনা।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় তদন্ত রিপোর্টের পর জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলী ও রদবদল হয়েছে।

গোপনীয় শাখার সিএ কাম ইউডিএ মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রশাসনিক পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরও মৌখিক নির্দেশে এ পদে রেখেছিলেন। পূর্বের পদে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। অফিস সহকারী মোছা. ফারজানা বেগমকে শিক্ষা কল্যাণ শাখায়, ফরাশম্যান মো. সরোয়ার হোসেনকে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে, জারিকারক হাফিজুর রহমানকে বকসীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একই পদে ও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী পারুল বেগমকে নেজারত শাখায় বদলি করা হয়।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, গোপনীয় শাখাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। তদন্ত রিপোর্টের কপি পেলে সেখানে নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *