স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ‘সারা জীবনের জন্য আমার ছেলের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার ছেলের পা যেহেতু আর কোনো দিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না, তাই আমার দাবি যাদের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তাদেরও পাও যাতে আর কোনো দিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে।’
কথাগুলো বলছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া বেগম।
আবরারের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে এখনো শোকের ছায়া। সন্তানকে হারিয়ে শোকে হতবিহবল বাবা বরকত উল্লাহও। আবরারের হত্যাকারীদের সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিষ্কার চান তারা।
আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকতুল্লাহ বলেন, ১৯ জনকে অস্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের শনাক্ত করা গেছে তাদের তো স্থায়ী বহিষ্কার করা যেত।
এদিকে, সন্তান হত্যা নিয়ে কেউ যেন অপপ্রচার না চালায় সেদিকে নজর দেয়ার কথা জানান আবরারের বাবা। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
বরকতুল্লাহ বলেন, আমার ছেলের লাশ নিয়ে কেউ যেন রাজনৈতিক আন্দোলন না ঘটায়।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সূত্র: পূর্বপশ্চিম।
স্ব.বা/শা