ধামরায়ে ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, জরিমানার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিলো সালিশকারীরা!

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক কিশোরীর জন্য সালিশ বসিয়ে ধর্ষণকারীর ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানার পর সেই টাকাও ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সালিশকারীদের বিরুদ্ধে।

ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে গেছেন ধর্ষণের মূল আসামি এবং সালিশকারী ইউপি সদস্যসহ অন্যরা।

ধামরাই থানা ওসি দীপক চন্দ্র রায় বলেছেন, মোকসেদ আলীর (৫০) বিরুদ্ধে ধর্ষণের মূল অভিযোগ। কিশোরীরকে (১৩) ধর্ষণে সহেযোগিতা করেছিল তারই স্ত্রী উজালা বেগম।

ধর্ষিত কিশোরীর বাবার করা মামলায় উজালা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩০ জুলাই রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী ওই কিশোরীকে ঘরে ডেকে নেন উজালা। পরে তার স্বামী মোকসেদ ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। একইভাবে আরও কয়েবার ধর্ষণের ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ২১ অক্টোবর কিশোরীর পরিবারের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এরপর গ্রামের প্রভাবশালীদের ঘটনাটি জানানো হলে গত সোমবার তারা সালিশ বসান। ওই সালিশে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ধর্ষণকারী মোকসেদকে।

ওই টাকাও সালিশকারী ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে এই ঘটনায় মুখ না খুলতে শাসিয়ে দিয়েছিল বলে ধর্ষিতের পরিবারের অভিযোগ। মামলায় এজন্য আমতা ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য মো. ফারুক হোসেন, আলামিন, দরবার আলী, চান মিয়া ও জসিমকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি বলেন, “ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা করার পর উজালা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *