জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কেবিনেটে (মন্ত্রিসভা) যারা ছিল তাদের মধ্যে একজনই বেঁচে আছেন। তিনি হলেন গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ড. কামালের নির্বাচনে অংশ না নেয়াকে অনেকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘ষড়যন্ত্র শব্দটা আমার দেশে অনেক বেশি ব্যবহার হয়। আমার এটা খুবই বিরক্ত লাগে। আমার বয়স ৮০ বছর। জাতির জনকের কেবিনেটে যারা ছিল তাদের মধ্যে একজনই বেঁচে আছেন।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালেও আমাকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, আমি করিনি। এখন অনেক যোগ্য ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা উঠে আসছেন। তাই আমি নির্বাচন করছি না।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম যেন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করা হয়। কিন্তু পাইকারি গ্রেফতার বন্ধ হচ্ছে না। নির্বাচন সুষ্ঠুর জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন এ ধরনের পাইকারি গ্রেফতার বন্ধ না হলে সেই পরিবেশকে সুষ্ঠু বলা যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের নিজ নিজ জায়গা থেকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান ড. কামাল।
এছাড়া দেশবাসীকে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক ড. কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।