পুরো রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক, বাস টার্মিনালে ‘নো পার্কিংয়ে’ পার্কিং

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: এ দৃশ্য রাজধানীর কোনো নির্দিষ্ট এলাকার বা গণ্ডির না। এ চিত্র পুরো ঢাকার। রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক, বাস টার্মিনাল আর আশেপাশের চিরচেনা দৃশ্য এটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় চার লেনের রাস্তার অনেকটাই দখল হয়ে অবৈধ পার্কিংয়ে।

অনেকে অবশ্য এর জন্য পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকাকে দায়ী করছেন। কেউ কেউ আবার চালকদের অনীহাকে দায়ী করেন।

কিন্তু কারণ যাই হোক এ ধরণের অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন নতুন সড়ক পরিবহন আইন চালু হলে হয়তো ভোগান্তি কমবে। কিন্তু নতুন আইন কার্যকরের একসপ্তাহ পরেও কার্যত তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।

নতুন সড়ক আইনে নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য স্থানে গাড়ি থামিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। পুরোনো আইনে জরিমানার পরিমাণ ছিলো মাত্র ২০০ টাকা।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ইমন বলেন, সন্তানকে নিয়মিত স্কুলে নিয়ে যাই। তীব্র যানজট ও বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হয়। কিন্তু রাস্তার পাশেও হকাররা বসে নয়তো গাড়ি পার্কিং করা থাকে। যার ফলে ফুটপাত দিয়েও ঠিকভাবে চলাচল করা যায়না। তাছাড়া লেগুনাসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাস রাস্তায় বেপরোয়া চলাচল করছে। রিকশায় চলাচল করতেও ভয় হয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কা তাড়া করে।

কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল নাইমা জানান, তারা কলেজে যাওয়ার পথে প্রায়ই নানান ধরনের সমস্যায় পড়ে। কখনো ফুটপাতে অবৈধ দোকান আবার কখনো অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে হাঁটতে বেশ সমস্যা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে এর সত্যতা মেলে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আজীমপুর, মিরপুর, গুলিস্তান, কাওরান বাজার, বাংলামোটর সহ বেশ কিছু জায়গায় যত্রতত্র পার্কিং করা গাড়ি ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান চোখে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট এলাকার সার্জেন্ট মাহবুব বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা যতোটা সম্ভব অবৈধ পার্কিং রোধে কাজ করছি। আমরা অবৈধভাবে দাঁড়ানো রিকশা দেখলে তাৎক্ষণিক তাড়িয়ে দেই। গাড়ি বা মোটরসাইকেল দেখলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তারপরেও আবার তারা পার্কিং করে। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সার্জেন্ট রুবেল বলেন, আমরা নতুন সড়ক আইনের শাস্তি সম্পর্কে মানুষকে জানাচ্ছি। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। এখনও অনেকে আইন মানেননা। তবে সামনে নতুন আইন প্রয়োগ হলে আশা করি পরিবর্তন আসবে। শাস্তির ভয়ে হলেও অনেকে আইন মানবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, অবৈধ পার্কিংসহ নতুন সব সড়ক আইনের প্রচারণা চালাচ্ছি আমরা।

নতুন আইনে অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়ে একটি ধারা রয়েছে। আশা করি আগামী সপ্তাহে আমরা নতুন আইনের প্রয়োগ করব। সে সময় সবাই আইন মানবে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *