নড়াইলে বুলবুল আগমেন লেপ-তোষক কারিগরদের হাঁক-ডাক

জাতীয়

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: ঘুর্নিঝড় বুলবুল আগমেন নিম্নচাপে নড়াইল’র গ্রামীণ জনপদে শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু করে। কার্তিক থেকে শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে নড়াইল’র বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই।

নড়াইলের জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও।

ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। গ্রাম-বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘আশ্বিন মাস এলেই শীতের কারণে মানুষের গা শিরশির করে।’ কিন্তু এখন কার্তিক মাসের শেষ ভাগে সকাল হলেই ঘন কুয়াশা আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে জেলার মানুষের।

সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নিভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয় ব্যস্ততা। প্রতিবছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শীতকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নড়াইল বিভিন্ন মার্কেট এলাকা ও গলির মোড়ে গড়ে ওঠা লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। নড়াইল পৌর শহরের লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল এই শীত এলো বলে! কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলার লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সবকটিতেই ছিল অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একই দৃশ্য চোখে পড়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। জেলার লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সবকটিতেই ছিল অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একই দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।

এ বছর লেপের দাম কেমন হবে জানতে চাইলে নড়াইল বেডিং এর মালিক হাচান বলেন, রেডিমেড লেপ কিনতে খরচ পড়বে সিঙ্গেল লেপ ২ হাজার টাকা, সেমি-ডবল লেপ ১৮শ’ থেকে দুই হাজার টাকা, ডবল লেপ পাওয়া যাবে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। এদিকে নড়াইল বাজারের বুলু দাস জানান, শীতকে কেন্দ্র করে নড়াইল মার্কেটে উঠেছে নানা ধরনের কম্বল। তবে আকার অনুযায়ী দাম কম-বেশি রয়েছে।

এক্ষেত্রে বড় কম্বলের দাম পড়বে প্রায় আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ছোট কম্বল দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এ ছাড়াও শিশুদের জন্য কম্বলের দাম পড়বে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *