ইয়াবা ও ফেনসিডিলখোর ছিলেন ’নুর হোসেন‘ বললেন জাপা মহাসচিব

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: নুর হোসেনের বিচার আমরা চাই। সুষ্ঠু তদন্ত চাই। মিলন হত্যার বিচার চাই, সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যাতে মানুষ সঠিক ঘটনা জানতে পারে। এই নোংরা রাজনীতি বন্ধের পক্ষে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ১৯৮৬ সালের পর থেকে দিবসটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে আসছে জাতীয় পার্টি।

জিএম কাদের বলেন, এরশাদ সাহেব ১৯৮৬ সালে এই দিনে ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশে আর কোনো দিন সামরিক শাসন আসবে না। আর কিন্তু কখনই কাঠামোগতভাবে সামরিক শাসন আসেনি। যেদিন সঠিকভাবে ইতিহাস রচিত হবে, সেদিন দেশের মানুষ এই দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করবে।

দেশে এখন দুষ্টের পালন ও শিষ্টের নানাভাবে হয়রান করা হচ্ছে। নব্বই পর থেকে যে সমাজ ব্যবস্থা, সেটাকে ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা বলে না। দুর্নীতি দিন দিন বেড়েই চলছে। খুন ধর্ষণ বেড়েই চলছে এটা ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সাক্ষ্য বহন করে না। ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না, সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে, সুশাসন নেই। সুশাসনের কোনো স্কেলেই নেই বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এরশাদের জীবন ব্যবস্থা ছিল গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ। ওনি গণতন্ত্রের স্বার্থে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। আবার যখন প্রয়োজন হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে ওনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে সুন্দরবনে, যদি বিশ্বজিৎ ও আবরারকে হত্যা করা না হতো তাহলে বলতাম গণতন্ত্র রয়েছে। শিক্ষককে পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাবি ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছে ছাত্ররা।

ইয়াবাখোর ফেনসিডিলখোর ছিলেন নুর হোসেন। তাকে নিয়ে নাচানাচি করছে আওয়ামী লীগ বিএনপি। তাদের কাছে ইয়াবা-ফেন্সিডিল খোর ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব বেশি। এরশাদ সাহেবের কাছে এরা কোনো গুরুত্ব পাননি। যারা গণতন্ত্রের গ ও বুঝে না, অ্যাডিক্টেড একটি ছেলে নুর হোসেন। পুলিশ গুলি করলো সামনে থেকে আর ঘুরে গিয়ে পেছন থেকে লাগল। কি হাস্যকর যুক্তি। তখনতো একজন মারা গেছে, এখন প্রতিদিনই মানুষ মরছে।

স্বৈরাচার এরশাদ না, খালেদা জিয়া স্বৈরাচার। খালেদা স্বৈরাচার হলে শেখ হাসিনাও স্বৈরাচার। একুশ বছর পর এরশাদের অনুগ্রহে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়। নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগ বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ওদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। এই গণতন্ত্র মুখে দেয় নাকি মাথায় দেয়। আগে গণতন্ত্র বুঝতে হবে বলে মন্তব্য করেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।

ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার সভাপতি প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভরায়, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ। সূত্র: বার্তা২৪।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *