স্বদেশ বাণী ডেস্ক: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলায় পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস সোমবার আসামির জামিন নাকচের এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তা দাখিল না করায় আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।
একই সঙ্গে এদিন আসামি পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচের ওই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের জানুয়ারিতে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এক সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগও আসে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এর চার মাস পর তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।
মামলায় ২ জুলাই ডিআইজি মিজান ও ৪ জুলাই তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর কয়েক দফায় তাদের জামিন নাকচ করেন আদালত। বর্তমানে দুই আসামিই কারাগারে রয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা