কেশবপুরে লবণ নিয়ে গুজব : ১৫ টাকার খোলা লবণ ৬০ টাকা বিক্রি

জাতীয়

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ১৫ টাকার খোলা লবণ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লবণের দাম বেশী শুনে ক্রেতারা লবণের দোকানে ভিড় করছে। লবণের চাহিদা বেশী দেখে বড় বড় ব্যবসায়ীরা লবণ গুদাম জাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।

এদিকে হঠাৎ করে লবণের দাম বেশী জেনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে লবণের কোন মূল্য বৃদ্ধি হয়নি। গুজব ছড়ায়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা নেওয়ার জন্য লবণ বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করেন।

গতকাল সন্ধ্যায় কেশবপুর শহরে হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়লো দেশে লবণের দাম বেড়ে গেছে। এগুজবের সুযোগে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রেতারা লবণ বেশী দামে বিক্রি শুরু করলো। লবণের দাম আরো বেশী হবে এমনটি মনে করে সাধারণ ক্রেতারা প্রয়োজনের চেয়ে অধিক পরিমাণ লবণ ক্রয় করে মূহুর্তের মধ্যে খুচরা দোকানের লবণ শূন্য করে ফেললো। বড় ব্যবসায়ীরা লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি হলো।

এমন খবর প্রশাসনের কানে গেলে কেশবপুর থানার এসআই আব্দুস সালাম, এসআই তাপসসহ অনেক পুলিশ অফিসার কেশবপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে পরিদর্শন শুরু করলে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করে দিলো। এসময় আলাপ হলো এসআই আব্দুস সালামের সঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর লবণ রয়েছে। লবণের কোন সংকট হয়নি। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে।

খোলা লবণ ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছে। মজিদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ ও সুভাষ পালকে দেখা গেছে, ৪০ টাকা দরে প্রত্যেকে ৪ কেজি করে লবণ কিনে বাড়ি ফিরছে। তারা জানান, লবণের দাম বেশী দেখে আমরা বেশী দামে লবণ ক্রয় করেছি। হাবাসপোল গ্রামের মিন্টু জানান, লবণের দাম বেশী শুনে আমি ৮ কেজি লবণ ক্রয় করেছি।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর লবণ নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে লবণের দাম বেড়েছে গুজবে কান দেবেন না। লবণের কোন দাম বৃদ্ধি হয়নি। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা লবণের দাম বৃদ্ধি হয়েছে গুজব ছড়ায়ে ক্রেতাদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে। পথচারীরা গুজব সৃষ্টি কারীদের আইনী আমলে এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবী করেছে।

এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, লবণ নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমরা কেশবপুর শহরে মাইকিং করেছি। এছাড়াও আমার অফিসারদের নিয়ে বাজার তদন্ত করা হচ্ছে। যারা লবণ গুদাম জাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশী দামে বিক্রি করছে এবং যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *