দক্ষিণ সুনামগঞ্জে রাস্তার কাজে নিন্ম মানের ইট ব্যবহার : এলাকাবাসীর অভিযোগে কাজ বন্ধ

জাতীয় লীড

কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও ছাতকের মধ্যবর্তী পিঠাপশী রাস্তার কাজ না হওয়ায় অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিলো ৪শত মিটার জায়গা। এজন্য দুর্ভোগের অন্ত নেই এ রাস্তায় চলাচলকারী খাড়াই, পিঠাপশি, ঘোড়াডুম্বুর, নাজিমপুর, জাইল্যা, চাতারখই, গণিপুর, সাদারাই ও ছয়হাড়ার কিছু অংশসহ প্রায় ৯টি গ্রামের মানুষের।

জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে তাদের। দীর্ঘদিনপর মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পমন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় কয়েকদিন আগে ৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শুরু হয় রাস্থা নির্মানের কাজ।

রাস্থার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে দেখা দেয় আশার আলো। কিন্তু কাজ শুরু হতে না হতেই চলমান কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেনু মিয়া এন্টারপ্রাইজ রাস্থার কাজে নিু মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ করে দেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই এলাকার মানুষের। দীর্ঘ প্রায় ১ যুগের ও বেশি সময়ের পর টেন্ডার হলেও অভিযোগে পরে রয়েছে কাজ। ফলে কাজ শুরু হলেও নতুন করে দুর্ভোগে নাকাল ৯ টি গ্রামের মানুষ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্থার কাজ বন্ধ রয়েছে।

দূর থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও রাস্থার পাশ থেকেই বড় বড় গর্ত করে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ঝুকির মধ্যে রয়েছে রাস্থাটি। এলাকাবাসী অনেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে বলেন রাস্থার পাশে ২ ফুট মাটি দেয়ার কথা থাকলেও মানা হচ্ছেনা নিয়ম, এছাড়া নি¤œমানের ইট লাগনো হয়েছে গাইড ওয়ালে। নিজের খেয়াল খুশিমতই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ করছে। রাস্থা নির্মানের কাজ করছে সুনামগঞ্জের রেনু মিয়া এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। রফিক মিয়া নামের একজন বলেন, রাস্থার কাজে অনেক অনিয়ম হচ্ছে।

ঠিকাদারের লোকেরা কারও কথা না মেনে নিজের খেয়াল খুশিমতই কাজ করছে। দীর্ঘ বছর অপেক্ষার প্রহর গুনার পর রাস্থার কাজ শুরু হলেও অনিয়মের কারণে পরে রয়েছে। যার ফলে আমরা এখন আরও সমস্যায় পরেছি। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুৃক এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আমাদের উন্নয়নের রুপকার হাওর রতœ মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ¦ এম এ মান্নান মহোদয়ের প্রচেষ্টায় আমরা আলোর পথ দেখেছিলাম। কিন্তু কাজ শুরু থেকেই অনিয়মের কারণে আমরা এলাকাবাসীর অভিযোগের আলোকে কাজ বন্ধ করে রেখেছেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। রাস্থার কাজে কোন অনিয়ম হলে আমরা এলাকাবাসী সহ্য করব না।

এব্যাপারে রেনু এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারি রেনু মিয়া বলেন, ইট ভালো ছিল না বলে কাজ বন্ধ রাখা হয়েঝে। আমরা এখন ভালো মালামাল দিয়ে কাজ করবো।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শামীম হাসান বলেন, রাস্থায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যদি রাস্থার পাশ থেকেই মাটি তুলে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *