বাথরুমের পানি পান করানো এবং ইলেকট্রিক শক দিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ছাত্র আসিফ

জাতীয় লীড শিক্ষা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: এবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় র‌্যাগিংয়ের নামে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্সের ১ম বর্ষের ছাত্র আসিফ (১৭)।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টা পর্যন্ত তার ওপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। এ সময় তাকে বাথরুমের পানি পান ও ইলেকট্রিক শক দেয় কথিত বড় ভাইয়েরা।

এ ঘটনায় শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতনের শিকার আসিফের বাবা মাসুম বিল্লাহ।

এদিকে ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেরিন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ইন্সপেক্টর তাকিউদ্দিন সানিকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার আসিফ জানান, মেরিন ইনস্টিটিউটে ‘বড় ভাই’ খ্যাত ২য় ও ৩য় বর্ষের ছাত্ররা ১ম বর্ষের ছাত্রদের র‌্যাগিংয়ের নামে বিভিন্ন শারীরিক নির্যাতন করে। এমনকি তাদের দিয়ে কাপড় ধোয়া, ঘর পরিষ্কার করানোসহ অনেক কাজ করানো হয়।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার আসিফ প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কথিত বড় ভাই রিয়াজুল, গোলাম আজম, আলিফসহ আরও কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে ছাত্রাবাসের পুরাতন ভবনে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নির্যাতন করে। এ সময় তাকে বাথরুমের পানি পান করতে বাধ্য করা হয় এবং ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়।

পরে খবর পেয়ে বন্দর থানার এএসআই শামীম ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।

এ ব্যাপারে মেরিন ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী শরীফা সুলতানা বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এ ঘটনায় সিনিয়র ইন্সপেক্টর তাকিউদ্দিন সানিকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত ছাত্ররা প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে আহত ছাত্রের সঙ্গে মীমাংসা করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে নির্যাতিত ছাত্রের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: জাগো নিউজ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *