একেবারে খাইয়া ফালামু’ বলা আ.লীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের এক নেতা মুদি দোকানির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। সেই সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালও করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক না হয়েও প্রকাশ্যে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এম হুমায়ুন মাহমুদ নামে ওই আ.লীগ নেতা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এম হুমায়ুন মাহমুদ ওই সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

ফেসবুকে ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আ.লীগ নেতা হুমায়ুন মাহমুদ ওই দোকানিকে চিৎকার করে বলছেন ‘ওই ব্যাটা আমাকে জয় বাংলা শিখাও?’। তখন ওই মুদি দোকানি বলেন, ‘আমি নড়িয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।’

এ কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন এম হুমায়ুন মাহমুদ। ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দোকানিকে গালাগাল শুরু করেন তিনি।

এম হুমায়ুন মাহমুদ বলতে থাকেন, ‘ওই তোর নড়িয়ার গুষ্টি কিলাই, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, খাইয়া ফালামু একেবারে, বাইরাইয়া এক্কেবারে সোজা কইরা দিমু।’

জানা গেছে, দোকানির সঙ্গে ওই আ.লীগ নেতার এমন আচরণের ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর বাংলামোটরের ১ নম্বর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ‘মেসার্স বাবুল স্টোর’র সামনে। গাড়ি পার্কিং নিয়ে দোকানির সঙ্গে এই বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন কুমিল্লার এই আ.লীগ নেতা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোস্তফা মাহবুব বাপ্পি নামের এক ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করেন। আর এরপরই ভিডিওটি ফেইসবুকে হু-হু করে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে ওই নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক না হয়েও নিজেকে মুদি দোকানির কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে প্রকাশ্যে দাবি করছেন। এদিকে এম হুমায়ূন মাহমুদের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেবিদ্বারের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলেন, মুদি দোকানির সঙ্গে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন মাহমুদের এমন আচরণ দুঃখজনক। তার আচরণে আমরা সংগঠন থেকে হতাশ হয়েছি। দেশ ও দলের স্বার্থে হলেও তার এমন আচরণের পরিবর্তন আনা জরুরি। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।

আমি জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, খাইয়া ফালামু একেবারে’কুমিল্লার উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা মুদি দোকানির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।মুদি দোকানিকে বকা-ঝকা করা ওই নেতা হলেন দেবিদ্বার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এম হুমায়ুন মাহমুদ। খবর আমাদের সময়'র।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে মোস্তফা মাহবুব বাপ্পি নামের এক ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে ভিডিওটি পোস্ট করেন। তিনি এ ভিডিও’র ক্যাপশনে লিখেন, ‘কারও সাথে কথা বলতে গেলে যদি নিজের পদ ও পরিচয় দিতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কার পরিচয় দেবেন?’ এরপর এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আজ শুক্রবার দুপুর থেকে বাপ্পি নামেরও ওই ব্যক্তির ফেইসবুক আইডিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর বাংলামোটরের ১ নম্বর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ‘মেসার্স বাবুল স্টোর’র সামনে গাড়ি পার্কিং নিয়ে এই বাকবিতণ্ডা হয়।ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন মাহমুদ ওই দোকানির দিকে তেড়ে গিয়ে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছেন। ভিডিওতে ওই নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক না হয়েও নিজেকে মুদি দোকানির কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে প্রকাশ্যে দাবি করছেন। তিনি বলেন, ‘ওই ব্যাটা আমাকে জয় বাংলা শিখাও’। তখন ওই মুদি দোকানি বলেন, ‘আমি নড়িয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।’ দোকানির কথা থামিয়ে এম হুমায়ুন মাহমুদ ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দোকানিকে বলতে থাকেন, ‘ওই তোর নড়িয়ার গুষ্টি কিলাই, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, খাইয়া ফালামু একেবারে, বাইরাইয়া এক্কেবারে সোজা কইরা দিমু।’ ওই দোকানি বলেন, ‘কথা সুন্দর করে বলেন।’ পরে ওই নেতা বলেন, ‘তোরে আমি শেখাই, তোরে আমি শেখাই।’ পরে তিনি নিজের মুঠোফোন দেখতে দেখতে চলে যান।এম হুমায়ূন মাহমুদের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেবিদ্বারের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেন, সামান্য এক মুদি দোকানির সঙ্গে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন মাহমুদের এমন আচরণ দুঃখজনক। তার আচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি। এ ব্যাপারে এম হুমায়ুন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।প্রসঙ্গত, আগামী ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এম হুমায়ুন মাহমুদ ওই সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।।

Posted by কাজী হেমায়েত উদ্দিন মিশন on Friday, December 6, 2019

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *