কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে পূত্র আলমগীরের নামে হয়রানি মূলক মামলা পুনঃ তদন্তের দাবিতে পিতা মজিদ খাঁ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার দুপুরে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আবু বক্কার খাঁর পূত্র মজিদ খাঁ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার আপন চাচাতো ভাই আব্দুল আলিম খাঁ তার কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে এনে আমার পূত্র আলমগীর হোসেন ও সহযোগিতার করার অভিযোগে আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৩/০৩/২০১৯ তারিখে যশোর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-০১ (কেশবপুর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১)/৩০ ধারায় একটি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়। পিবিআই ৩০/০৫/২০১৯ তারিখ প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে আমার স্ত্রী নির্দোশ প্রমানিত হয়েছে এবং আমার পূত্র আলমগীরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) ধারায় প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমানিত হইয়াছে মর্মে দাখিল করিয়াছে।
পিবিআইর প্রতিবেদনে আমার পূত্রকে দায়ি করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আমার দাবি আমার পূত্র আলমগীর নির্দোশ। তাকে ফাঁসাতে বাদি পক্ষ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় সে দায়ি হয়েছে। যে কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে আবারও সরেজমিন নিরেপক্ষ তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দিলে আমার পূত্র দায়ি হবেনা।
আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে অন্য কারোর দ্বারা ধর্ষণ বা যৌন হয়রাণীর শিকার হয়েছে। সেটা আমার ছেলের উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিক বার সালিশি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বাদির চাহিত মোটা অংকের টাকা আমরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার পূত্রকে বিনা দোষে জেল খাটতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুনরায় সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সঠিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাঁর নির্দোশ পূত্র আলমগীরকে হয়রানি মূলক মামলা ও জেল থেকে মুক্ত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্ব.বা/শা