আগামী তিন-চারদিন পর মানুষ পেঁয়াজ খেয়ে ঘুমাবে

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ‘আগামী তিন-চারদিন পর পেঁয়াজের তেমন চাহিদা থাকবে না। মানুষ পেঁয়াজ খেয়ে ঘুমাবে।’ এমন আশ্বাস দিয়েছেন মৌলভীবাজার টিসিবির আঞ্চলিক পরিচালক মো. ইসমাইল মজুমদার।

তিনি বলেন, প্রতিদিন জেলা সদরে দু’দফায় ৬ টন করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। আরো ২/৩ দিন পর থেকেই জেলার প্রত্যেক উপজেলা সদরে ডিলারদের মাধ্যমে ৩ টন করে নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জেলা সদরে দুজন ডিলারের মাধ্যমে পেঁয়াজ, সোয়াবিন, চিনি ও খেসারী ডাল নির্ধারিত রেটে বিক্রি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ কিনতে যুগপৎ পুরুষ ও নারীর লম্বা লাইন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর নারী উদ্যোক্তা জেবিন আক্তার এক কেজি পেঁয়াজ কেনেন। তিনি বলেন,‘পেঁয়াজের দাম মানুষকে অসহায় করে দিয়েছে। এখনও দেশি পেঁয়াজ বাজারে ১৮০-২০০ টাকা আর মিশরীয় প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আজ ধনী-গরিব এক কাতারে দাঁড়িয়ে ৪৫ টাকায় টিসিবির পেঁয়াজ কিনছেন। এভাবে চলতে থাকলে মানুষের আর পেঁয়াজ খাওয়া হবে না।’

গত ২১ নভেম্বর থেকে মৌলভীবাজার শহরে কোর্ট এলাকা, পৌরসভার সামনে, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ও কুসুমবাগ এলাকায় ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতিদিন পেঁয়াজ কিনতে এক কাতারে দাঁড়িয়ে যান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শহরের কলিমাবাদ এলাকার হাজেরা বেগম বলেন, ‘স্বামীকে অফিস করতে হবে তার পক্ষে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কেনা সম্ভব না। তাই ছেলেকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আমিই দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনলাম।’

পৌরসভার সামনে পেঁয়াজ কিনতে আসা শহরের মুসলিম কোয়াটার এলাকার মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর অভিমানে এক সপ্তাহ পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করেছি। পরে গত সপ্তাহ থেকে মৌলভীবাজারে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করলে সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ ক্রয় করছি। সেখান থেকে এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কেনা যায় না।’

ইসমাইল মজুমদার আরো বলেন, ‘প্রতিদিন তিনজন ডিলারকে মোট তিন মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া সারা জেলায় ২০টির বেশি ট্রাকে করে ৪৫ টাকা মূল্যে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *