নড়াইলে ধান মিলে খাদ্য অধিদপ্তরের ১৮৬ বস্তায় চাল বিক্রির অভিযোগ!

কৃষি জাতীয় লীড

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে একটি ধান ছাটাই মিলে খাদ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত ১৮৬ বস্তায় চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার মাউলি ইউনিয়নের মহাজন গ্রামে অবস্থিত ওই মিল মালিকের নাম মামুন বিশ্বাস।

তিনি মহাজন গ্রামের আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা উল্টিয়ে পুনরায় একই বস্তায় ২০ কেজি করে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য চাল রাখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিল মালিক মুমুন বিশ্বাস বলেন, আমি টাকার বিনিময়ে প্রতিটি বস্তায় ২০ কেজি করে চাল রেখে সেলাই করে দিচ্ছি। এসব চাল ও বস্তার কার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা ও চাল এর মালিক শংকর দাস। তিনি আমাকে ২০ কেজি করে প্যাকেট করতে বলেছেন। শংকর একই ইউনিয়নের গন্দবাড়িয়া গ্রামের শ্যামাপদ দাসের ছেলে।

নিজেকে চাল ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করে শংকর বলেন, আমি খাদ্য অধিদপ্তরের চাউলের বস্তা লোক মারফাত ক্রয় করেছি। আমার গোডাউনে থাকা কিছু পুকায় খাওয়া চাল পুনরায় রি-ফ্রেশ করে বস্তা বন্দি করছি।

এ বিষয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদাকে দুপুর বেলায় মোবাইল ফোনে অবহিত করা হলেও ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠিয়ে তিনি খবর নেন প্রায় তিন ঘন্টা পর।

পরে সন্ধা ৬ টায় ইউএনও নাজমুল হুদা মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মানুন বিশ্বাসের চাল ছাটাই মিলে গিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় রাখা চাল দেখেছেন। তারা জানিয়েছেন বস্তায় রাখা চাল চিকন। যা সরকারি চাল নাও হতে পারে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *