বিভিন্ন মহাসড়কের ৫০টি দোকানে চলে চোরাই তেলের জমজমাট বাণিজ্য

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রূপগঞ্জ হাইওয়ে থানা, সোনারগাঁ থানা ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে টাকা দিয়ে গাজীপুর-চট্রগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও উপ-শহরের ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ৫০টি দোকানে চলে চোরাই তেলের বাণিজ্য। অভিযোগ উঠেছে এসকল ব্যবসা চলে পুলিশকে ম্যানেজ করে।

এশিয়ান হাইওয়ে মদনপুর, বস্তল, গোলাকান্দাইল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, জিন্দাপার্ক ও সেতু থেকে ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেট পর্যন্ত ফুটপাতে জমে ওঠা প্রায় ৫০টি দোকানে চলে চোরাই তেলের কেনা-বেচা। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে অনেক অজানা রহস্যময় তথ্য।

এসকল হাইওয়ের পাশে টং দোকানে চোরাই তেল ব্যবসার অন্তরালে চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটার চোরাই ইট, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল ও মরণ নেশা ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদকের ব্যবসা।

অনুসন্ধানে যাদের দেখা মেলে তারা হলেন- এশিয়ান হাইওয়ে মদন মুন্সী পাম্পের পাশে জুয়েল, নলপাথর এলাকার সামছুল ইসলাম, সুইরাব এলাকার রাকিব, একই এলাকার সোলমান, আনোয়ার, মাসতুল এলাকার লিটন, কুদুর মার্কেট এলাকার ইয়াছিন, সাব্বির হোসেন, ইসমাইল, লেংটার মাজার এলাকায় কাশেম, সোহেল। বাকি ১৫টা দোকান বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ঢাক-সিলেট মহাসড়কের সাওঘাট এলাকায় নতুন করে গড়ে উঠেছে কয়েকটি চোরাই তেলের দোকান। এলাকাবাসী জানান, চোরাই তেল ব্যবসায়ীরা অনেকেই দিনের বেলা দোকান বন্ধ রাখেন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে খোলা রাখে গভীর রাত পর্যন্ত। এদের ব্যবসাই চলে রাতে।

খবর নিয়ে জানা যায়, ব্রিজের পশ্চিম পাড় থেকে নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ২০টি, জিন্দাপার্ক পর্যন্ত ১০টি ও গোলাকান্দাইল থেকে ব্রিজ পর্যন্ত ৫টি দোকান রয়েছে। তবে এর মধ্যে ২০টি দোকানের পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে কুদুর মার্কেটের তেল ব্যবসায়ী ইয়াছিন। বাকিরা নিজেরাই পুলিশকে ম্যানেজ করে বলে জানা যায়।

তেল ব্যবসায়ী সোলমান জানান, ইয়াছিন চোরাই তেলের ডিলার। সে আমাদের কাছ থেকে তেল কিনে থাকে।

মাসতুল এলাকার চোরাই তেল ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান, ডিলার ইয়াছিন থানা পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে। সে মাস শেষে প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থানাকে বুঝিয়ে দেয়। এ জন্যই আমাদের পুলিশি কোন সমস্যা করে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এখানে টং দোকানের মধ্যে ক্রয় করে থাকে চোরাই ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল, ইট ভাটার চোরাই ইট। তবে শুনেছি এসকল ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবা বিক্রি করে থাকে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, আমি নতুন এসেছি। থানার কথা বলে যদি কেউ অপকর্ম করে, তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমার কোন আপোষ নেই। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *