দক্ষিণ সুনামগঞ্জে রাস্তায় পার্শ্ব থেকেই বড়বড় গর্ত করে রাস্তায় মাটি ভরাট-এলাকাবাসীর ক্ষোভ

জাতীয় লীড

কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরপী থেকে আলমপুর-ঘোড়াডুম্বুর পর্যন্ত ২ হাজার ১ শত মিটার রাস্থার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্থার পার্শ্ব থেকে মাটি তুলে রাস্থার পাশর্^ ভরাট করায় যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে রাস্থাটি।

দীর্ঘদিন পর আলমপুর- ঘোড়াডুম্বুর এলাকার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে রাস্থার জন্য বরাদ্দ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান। কিন্তু রাস্থার কাজ মনগড়া মত করে চলে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

রাস্থায় ১০/ ১২ ফুট দুরত্ব থেকে মাটি এনে পার্শ¦ ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকার মানুষের কথা তোয়াক্কা না করেই রাস্থার পার্শ্ব থেকে বড় বড় গর্ত করে রাস্থার পাশর্^ ভরাট করেছে। রাস্তার পাশর্^ ভরাটের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও নাম মাত্র কাজ করে বাকি টাকা লুটে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার দরুন দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত রাস্থাটি যেকোন সময় ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকায় আছেন দুই গ্রামের মানুষ।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, আলমপুর থেকে ঘোড়াডুম্বুর পর্যন্ত ২ হাজার ১ শত মিটার রাস্থার জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। আর রাস্থার সাইডে মাটি কাটার জন্য বরাদ্দ ৫ লক্ষ টাকা। কাজটি পায় নিপতি এন্টারপ্রাইজ বায়স্থবায়ন করছে এলজিইডি। কাজটি জুলাই ২০১৯ শুরু হয়ে নভেম্বরে শেষ হয়। রাস্থায় মাটি ভরাটের জন্য ১০/১২ ফুট দুরত্ব থেকে মাটি আনার কথাও রয়েছে বলে এলজিইডি জানিয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্থার খুব কাছ থেকেই বড়বড় গর্ত করে মাটি এনে পাশর্^ ভরাট করা হয়েছে। রাস্তার পাশর্^ ভরাটের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও ৪০-৫০ হাজার টাকার মাটি দিয়ে ভরাট করে বাকি টাকা লুটে নিয়েছে ঠিকাদার। রাস্থার কাজ এমনভাবে হওয়ায় এলাকার অনেকেই এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমন বলেন, রাস্থার কাছ থেকে গর্ত করে মাটি তুলায় রাস্থা ঝুকিপূর্ণ আছে। এত টাকা বরাদ্দ হলেও বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের একব্যক্তি বলেন, রাস্থার কাজে অনিয়মের শেষ নেই। রাস্থার পাশে বড়বড় গর্ত করে মাটি তুলায় রাস্থা যেকোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে নিপতি এন্টারপ্রাইজ থেকে কাজ সাব কন্টেকে আনা জুনেদ মিয়া বলেন, আমি কাজ ঠিকমত করেছি, কোন অনিয়ম করিনি।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) রাজু আহমেদ বলেন, রাস্থায় সাইড ভরাটের জন্য ১০/১২ ফুট দূরত্ব থেকে মাটি আনার কথা বলা হয়েছিল। যদি তা না করে রাস্থার পার্শ্ব থেকে গর্ত করে মাটি দিয়ে রাস্তার পাশর্^ ভরাট করা হয়ে থাকে তাহলে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, রাস্থার কাজে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন কাজেই কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *