পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যা: এএসআই আশেক এলাহিকে গ্রেফতার

জাতীয় লীড
স্বদেশ বাণী ডেস্ক: সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান নিহতের ঘটনায় ফাঁড়ির প্রত্যাহারকৃত এএসআই আশেক এলাহিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার দিবাগত রাতে তাকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো. খালেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার আশেক এলাহিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হবে। এ সময় তার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তারা।

এ নিয়ে ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্য ও সন্দেহভাজন হিসেবে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করলো পিবিআই। তারা হলেন- কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুন উর রশিদ ও সর্বশেষ আশেক এলাহি।

এদের মধ্যে কনস্টেবল হারুন রশীদকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হবে আজ। এছাড়া গতকাল বুধবার দুই দফা রিমান্ড শেষে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

এই মামলার মূল সন্দেহভাজন বন্দরবাজার ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত এসআই আকবরক এখনো পলাতক রয়েছে।

রায়হান হত্যা মামলায় এর আগে গত ২৫ অক্টোবর শেখ সাইদুর নামে একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়।

পিবিআই’র একটি সূত্র জানায়, রায়হানকে আটকের আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী ছিলেন শেখ সাইদুর রহমান। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আর গত ২৪ অক্টোবর ফাঁড়ির বহিষ্কৃত কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এছাড়া গত ২০ অক্টোবর বহিষ্কৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার দেখায় পিবিআই।

এদিকে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বন্দরবার পুলিশ ফাঁড়ির সদ্য বহিষ্কৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তোলে তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *