পরিকল্পনামন্ত্রীর উন্নয়নের আলোয় আলোকিত সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

জাতীয় লীড শিক্ষা

কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জ জেলার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও আমুল পরিবর্তনের কারিগর সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি।

পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ উন্নয়নের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে দেয়া হচ্ছে নতুন নতুন একাডেমিক ভবন। শ্রেণী কক্ষের অভাবে যাতে লেখাপড়ায় কোন চাপ না পরে তার জন্য সকল প্রকার সুযোগ তৈরী হচ্ছে তার একান্ত প্রচেষ্টায়। সুনামগঞ্জের ইতিহাসে এর আগে এত উন্নয়ন কেউ দেখেনি ; এত উন্নয়নের কল্পনাই করেনি এই অঞ্চলের মানুষ।

মানুষের কল্পনাতীত কাজগুলো আজ রুপান্তর হচ্ছে বাস্তবে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাশাপাশি উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের আমুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সকল প্রকার উন্নয়ন দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়েছে এই বিদ্যাপীঠটি। শ্রেণী সমস্যা থেকে শুরু করে সকল সমস্যার সমাধান হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন অবহেলিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখন নতুন রুপে সেজেছে।

দীর্ঘদিনের শ্রেণী সংকট কাটিয়ে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। পুরাতন ভবন (টিন সেডে) ভেঙ্গে তৈরী করা হয়েছে ৩তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক নতুন একাডেমিক ভবন। স্থানীয়রা এত উন্নয়ন দেখে পরিকল্পনান্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সূত্রে জানা যায়, সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ও কলেজে শিক্ষা বিস্থারের জন্য প্রথমেই বরাদ্দ দেয়া হয় ৭০লাখ টাকা। দ্বিতীয় বরাদ্ধে দেয়া হয় ১কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এবং বিদ্যালয়টি নদী তীরে হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভুমি ধ্বস রোধকল্পে গার্ড ওয়ালের (সীমানা প্রাচীর) নির্মানের জন্য দেয়া হয়েছে প্রায় ৩কোটি টাকা। ম্যানেজিং কমিটি আরও জানায়, এতেই শেষ নয় পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে এই অঞ্চলের মানুষের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে ৩৯ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার কল্পনার বাইরে ছিল এই এলাকার মানুষের। এই বড় প্রকল্পটি হয়ে গেলে সামনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে যত উন্নয়ন হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবেনা। আমরা এর আগে এত উন্নয়ন দেখিনি। মাননীয়পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমাদের একটাই আবেদন দ্রুত যেন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সরকারি করণ করা হয়।

উপজেলা যুবলীগ নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত এত উন্নয়ন হয়নি যা এখন হচ্ছে। আমরা এত উন্নয়ন কখনোই দেখিনি। আমাদের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতি মন্ত্রী মহোদয়ের যে নজর তা সত্যিই গর্ব করার মত। আমাদের এখন আর কোন সমস্যা নেই। সবকিছুই উন্নয়ন দ্বারা আলোকিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজুর রহমান বলেন, প্রথমেই অশেষ ধন্যবাদ আমাদের হাওর রতœ মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়কে যার বদৌলতে অজপাড়া গায়ের এই বিদ্যাপীঠ আজ উন্নয়নের আলোয় আলোকিত হয়েছে। এখানে এখন এত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে যা আমাদের কল্পনার বাহিরে ছিল। আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ায় নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে একমাত্র মন্ত্রী মহোদয়ের জন্যই। আমরা উনার কাছে চির কৃতজ্ঞ।

এব্যাপারে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা এখন স্বয়ংস¤পূর্ণ। এখন আমাদের আর কোন কিছুর সমস্যা নেই। আমরা যা চেয়েছি তা পেয়েছি। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *