ঘাটাইলে ৩ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৩ স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং তাদের অপর এক বান্ধবী লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার সন্ধ্যানপুর ইউনিয়নের সাতকুয়াবাঈদ বন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক স্কুলছাত্রীর বাবা অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলা ও পারিবারিক সূত্রে যায়, রবিবার ওই চার ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক তারা স্কুলে না গিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে তাদের দুই ছেলে বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে নিয়ে উপজেলার সাতকুয়াবাঈদ গ্রামে ঘাটাইল সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় বেড়াতে যায়।

এ সময় ওই এলাকার ৫-৬ জন যুবক তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে ওই যুবকরা চার ছাত্রীর বন্ধুদের ও অটোচালককে মারধর করে এবং নির্জন বন এলাকায় ছাত্রীদের ছেলেবন্ধু ও অটোচালককে জিম্মি করে। পরে যুবকেরা তিন ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এক ছাত্রীকে লাঞ্চিত করে।

সন্ধ্যার পর ধর্ষককেরা তাদের ছেড়ে দিলে নিকটস্থ এক ছাত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বল। এ সময় ওই আত্মীয় ছাত্রীদের অভিভাবকদের খবর দেয়। পরে গভীর রাতে অভিভাবকরা পুলিশকে জানায়।

এদিকে সোমবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার তিন ছাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, “তাদেরকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তারা মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যন্ত।”

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় চার যুবককে আটকের খবর জানিয়েছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম।

সোমবার রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া চার যুবককে আটকের খবর ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আগামীকাল মঙ্গলবার বিস্তারিত জানানো হবে। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *